তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু: আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত
তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু: আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত।আস সালামু আলাইকুম। আপনি কি তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত, তাশাহুদ এর ইতিহাস, তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ ছবি, তাশাহুদ কিভাবে পড়তে হয়, তাশাহুদ পড়ার নিয়ম ইত্যাদি জানতে চান? তাদের জন্য আজকের লেখায় আমরা জানাবো তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু বাংলা, আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সম্পর্কে।
![]() |
তাশাহুদ-আরবি-বাংলা-উচ্চারণ-অর্থসহ-ফজিলত। ছবি - গুগল |
ইসলামের অন্যতম ফরজ ইবাদত নামাজের অন্যান্য দোয়ার মধ্যে তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু দোয়া নামাজের দ্বিতীয় বৈঠক এবং শেষ বৈঠকে অবশ্যই পড়তে হবে। তা না হলে নামাজ সম্পূর্ণ হবে না। তাহলে চলুন তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু বাংলা, আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু: আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত
তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু ইসলামিক নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। এখানে রয়েছে আত্তাহিয়াতু আরবি লেখা, বাংলা উচ্চারণ, অর্থসহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও এর ফজিলত। জানুন নামাজে আত্তাহিয়াতুর গুরুত্ব ও কল্যাণ। নামাজ হলো মু'মিনের ওপর আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত ফরজ বিধান। অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত হলো নামাজ। আমরা সাধারণত ফরজ নামাজ, সুন্নত নামাজ, ওয়াজিব নামাজ এবং নফল নামাজ আদায় করে থাকি। এই নামাজের ভেতরে এবং বাইরে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করাও ফরজ। প্রথম দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর বসাকে প্রথম বৈঠক এবং তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাত নামাজ পড়ার পর বাসাকে শেষ বৈঠক বলা হয়। প্রত্যেক বৈঠকে অর্থাৎ প্রথম বৈঠক এবং শেষ বৈঠকে অবশ্যই তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু সূরা, দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পড়তে হয়।
আরো পড়ুন: দুরুদ শরীফ আরবী ও বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ
বৈঠকে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু সূরা না পড়লে নামাজ অসম্পন্ন রয়ে যায়। সুতরাং নামাজের বৈঠকে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু পড়া মু'মিনের জন্য অবশ্যই কর্তব্য ও ওয়াজিব।
তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু আরবি উচ্চারণ
নামাজের ভেতরে যে সকল কাজ ফরজ তার একটি হল নামাজের বৈঠকে বসা। আর প্রত্যেক বৈঠকেই আত্তাহিয়াতু বা তাশাহুদ মনোযোগ সহকারে পড়তে হয়। তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু পড়ার সময় প্রত্যেকটি শব্দ এবং বাক্যের অর্থ উপলব্ধির চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু আরবিতে পড়তে জানি না।
(সূত্র: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে এই "তাশাহুদ" শিক্ষা দেন। সহিহ বুখারী: হাদিস নং ৬২৬৫)
তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু বাংলা উচ্চারণ
যেহেতু নামাজের প্রথম বৈঠক এবং শেষ বৈঠকে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক, সেহেতু তাশাহুদ আরবিতে অবশ্যই পড়তে হবে। কেননা নামাজের মধ্যে আরবি ভাষা ছাড়া নিজ মাতৃভাষায় কোন দোয়া পড়লে নামাজ হবে না। আপনারা যারা আরবি পড়তে পারেন না বা দূর্বল তাদের সুবিধার জন্য তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু বাংলায় উচ্চারণ করে দেওয়া হল।
তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত্ব তাইয়্যিবাতু আস-সালামু আলাইকা আইয়ুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস-সালামু আলাইনা ওয়া আ'লা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন। আশহাদু আল্লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু'।
(সূত্র: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে এই 'তাশাহুদ' শিক্ষা দেন। সহিহ বুখারী: হাদিস নং ৬২৬৫)
তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু বাংলা অর্থ
সকল মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত মহান আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ বা ইলাহ নাই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
![]() |
তাশাহুদ-আরবি-বাংলা-উচ্চারণ-অর্থসহ-ফজিলত |
(সূত্র: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে এই "তাশাহুদ" শিক্ষা দেন। সহিহ বুখারী: হাদিস নং ৬২৬৫)
নামাজে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু পড়ার নিয়ম
যখন কোন মু'মিন ব্যক্তি নামাজের মধ্যে মৌখিকভাবে আল্লাহর একত্ববাদ তাওহীদের সাক্ষ্য দেয়, তখন তার আঙ্গুলও একই সাক্ষ্য দেবে। এজন্য নামাজের বৈঠকে বসা অবস্থায় তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু পড়তে পড়তে যখন "আশহাদু আল্লা.. ইলাহা" পর্যন্ত পৌঁছবে, তখন ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও মধ্যমা দ্বারা গোল বৃত্ত বানাবে এবং শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা কেবলামুখী হয়ে উপরের দিকে আঙ্গুল ইশারা করবে। এ সময় কনিষ্ঠা ও অনামিকা আঙ্গুল ডান হাতের তালুর সঙ্গে যুক্ত থাকবে। 'ইল্লাল্লাহু' বলার পর শাহাদাত আঙ্গুল নিচে করবে। তবে অন্য আঙ্গুলগুলো আপন অবস্থায় নামাজের শেষ পর্যন্ত কেবলামুখী হয়ে থাকবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু পড়ার পর শাহাদাত আঙ্গুল ইশারা শেষ করার পরেও আঙ্গুল নাড়াচাড়া করতে থাকে। কিন্তু আঙ্গুলের ইশারা শেষ করার পর আর আঙ্গুল নাড়াচাড়া করা ঠিক নয়। (সূত্র: সহিহ মুসলিম: ১৩৩৬-১৩৩৭; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫২৭০; সুনানে নাসাঈ কুবরা: ১১৯৩, আবু দাউদ: হাদিস নং ৯৮৯)
অবশ্য তাশাহুদের বাক্য ও আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করার বিষয়ে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। আশা করি, তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু এর ফজিলত
নামাজের মধ্যে বৈঠকে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু পড়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ ঈমানের পর নামাজের অবস্থান। নামাজ প্রত্যেক মু'মিনের ওপর আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত ফরজ বিধান। তাই প্রত্যেকদিন সময় মত পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ পড়ার পাশাপাশি সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করতে হয়। বছরের কোন কোন সময় ওয়াজিব নামাজও পড়তে হয়। আর এসব নামাজের ভেতরে যে সকল কাজ ফরজ তার মধ্যে অন্যতম হলো বৈঠকে বসা।। বৈঠক হলো প্রথম দুই রাকাত পর বা তিন ও চার রাকাত পর নামাজরত অবস্থায় হাঁটু গেড়ে কেবলামুখী হয়ে বাসা। নামাজের প্রত্যেক বৈঠকেই প্রতিটি মু'মিনের জন্য তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু দোয়া পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। অর্থাৎ প্রত্যেক বৈঠকেই তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু দোয়া না পড়লে নামাজ সম্পন্ন হবে না।
মহান আল্লাহ তা’আলা বান্দার নামাজে দোয়াকে অত্যন্ত মর্যাদার সাথে গ্রহণ করেন। তাশাহুদে সর্বপ্রথম আল্লাহর জন্য সব ধরনের ইবাদতের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এর পরেই এসেছে আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য, যা তাওহীদের মূল ভিত্তি হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। আর রাসূলুল্লাহ সাঃ কে মহান আল্লাহর বান্দা ও রাসূল হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। সুতরাং নামাজের মধ্যে এ সকল বর্ণনা মহান আল্লাহকে খুশি করে তাঁর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। আশা করি, তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
তাশাহুদ এর ইতিহাস বা আত্তাহিয়াতু ঘটনা
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করতাম, তখন এ দোয়াটি পাঠ করতাম:
“আস-সালামু আলাল্লাহি কাবলা ইবাদিহি, আস-সালামু আলা জিবরীলা, আস-সালামু আলা মিকাইলা, আস-সালামু আলা ফুলানিন।”
অর্থাৎ—“আল্লাহর উপর সালাম, তাঁর বান্দাদের আগে; জিবরাইলের উপর সালাম, মিকাইলের উপর সালাম, অমুকের উপর সালাম।”
সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের বললেন—“আল্লাহর উপর সালাম পাঠিও না, কারণ আল্লাহ নিজেই ‘আস-সালাম’ (শান্তিদাতা)। বরং তোমরা বসে বলবে:
‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু ওয়াত্ব তাইয়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আসসালামু আলাইনা ওয়া আ’লা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন।’
অর্থাৎ—“সমস্ত দোয়া, ইবাদত ও উত্তম কাজ আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের ওপর এবং আল্লাহর সৎ বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।”
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, কেউ যদি এ কথাগুলো উচ্চারণ করে, তবে তার বরকত আকাশ ও জমিনের সব নেক বান্দার কাছে পৌঁছে যাবে। এরপর তিনি ﷺ বলেন, সে যেন উচ্চারণ করে—
“আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।”
অর্থাৎ: “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।”
এরপর নবী করীম ﷺ নির্দেশ দিলেন, বান্দা যেন নিজের পছন্দমতো দোয়া করে আল্লাহর দরবারে আবেদন জানায়।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬২৬৫)
তাশাহুদ এর প্রচলিত ইতিহাস
তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু সম্পর্কে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি কথা হল- রাসূলুল্লাহ সাঃ মেরাজ রজনীতে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু লাভ করেন। যা একেবারে ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট কাহিনী। এই সম্পর্কে কোন হাদিস গ্রন্থে সনদ বা বর্ণনা পাওয়া যায়নি। সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিম সহ অন্যান্য সকল হাদিস গ্রন্থে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু একথা কোথাও বলা হয়নি যে, তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু মেরাজের রজনীতে এসেছে। নিচে তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু সম্পর্কে প্রচলিত গল্পটি আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলো।
প্রচলিত গল্পটির সারসংক্ষেপ:
রাসূলুল্লাহ সাঃ মেরাজের রাত্রে যখন মহান আল্লাহর সর্বোচ্চ নৈকট্যে পৌঁছলেন, তখন তিনি মহান আল্লাহকে সম্বোধন করে বললেন- التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَات ( আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত্ব তাইয়্যিবাতু), তখন মহান আল্লাহ তায়ালা এর জবাবে বললেন- السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (আস-সালামু আলাইকা আইয়ুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)।
তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ চান যে, তাঁর উম্মতের জন্যেও সালামের অংশ থাকুক। এজন্য তিনি বললেন- السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ (আসসালামু আলাইনা ওয়া আ'লা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন)। তখন জিব্রাইল আঃ সহ সকল আকাশবাসী বলেন- أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আশহাদু আল্লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু)। কোন কোন গল্প কার বলেন উক্ত বাক্যটি ফেরেশতাগণ বলেছিলেন। আসলে এগুলোর কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। এমনকি কোন হাদিস গ্রন্থেও এ ধরনের কোন বর্ণনা বা সনদ পাওয়া যায়নি। তবে সনদ বিহীন ভাবে কেউ কেউ এই প্রচলিত ইতিহাসটি উল্লেখ করেন। আশা করি, তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন:
সর্বশেষ কথা - তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু: আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত
নামাজ মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট একটি ফরজ ইবাদত। আর এই ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তাশাহুদ বা আত্তাহিয়াতু দোয়া, যা পড়া ওয়াজিব তথা আবশ্যকীয় আমল। তাশাহুদ ব্যতীত নামাজ পূর্ণতা পায় না এবং তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই আজকের লেখায় আমরা তাশাহুদ আত্তাহিয়াতু আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত বিস্তারিত ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। লেখাটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার করার অনুরোধ রইল। আজকের লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url