আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে রাখুন
আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে রাখুন।আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুর, আপনারা যারা আজকের আর্টিকেলে জানতে চেয়েছেন আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। গর্ভাবস্থায় সব মহিলাদের প্রতিটি উপায়ে নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা।
![]()  | 
| কালো-আঙ্গুর-খাওয়ার-উপকারিতা। ছবি - এআই | 
অত্যন্ত সুস্বাদু এবং নানারকম পুষ্টিগুণে ভরপুর রাজকীয় ফল হল আঙ্গুর। আঙ্গুরের ইংরেজি হল Grape. আমাদের দেশে সাধারণত সবুজ, লাল ও কালো রঙের আঙ্গুর পাওয়া যায়। হালকা টক যুক্ত সুমিষ্ট আঙ্গুর ফলের বিভিন্ন রকম উপকারিতা গুণের জন্য একে কুইন অফ ফ্রুটস বা ফলের রানী বলা হয়।
আরো পড়ুন: লেবু খাওয়ার উপকারিতা
কিন্তু আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি কি আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন? জানুন ভীষণ স্বাস্থ্যকর ও জনপ্রিয় আঙ্গুর ফলের বিভিন্ন রকম ব্যবহার বিধি, উপকারিতা এবং খারাপ দিক সম্পর্কে। আঙুর দেশি ফল না হলেও এটি খুবই সহজলভ্য এবং সারা বছরই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু ফল ভর্তি ঝুড়ি থেকে কাউকে যেকোনো একটি ফল খাওয়ার অফার করা হলে প্রথমেই সে আঙ্গুর ফল বেছে নেবে। অনেক ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ আকর্ষণীয় আঙ্গুর ফলটি খেলে আপনার শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখবে। কেউ নিয়মিত আঙুর ফল খেলে সে অনেক উপকার পাবে। তবে যেকোনো জিনিসেরই ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকও রয়েছে। সুতরাং আঙুর ফলেরও ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। তাই আমরা প্রথমে আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা বা ভালো দিক গুলো সম্পর্কে জেনে নেব।
আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা
বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ আকর্ষণীয় আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এটি আকারে দেখতে যেমন আকর্ষণীয় ঠিক তেমনি খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। আঙ্গুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়ামের ভালো উৎস। আঙ্গুরের এসব গুণাবলীর কারণে এটি মানব দেহের অনেক উপকার সাধন করে থাকে।
![]()  | 
| সবুজ-আঙ্গুর-খাওয়ার-উপকারিতা। ছবি - এআই | 
যেমন- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ত্বক, চোখ, চুল ইত্যাদি ভালো রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন কে আমাদের দেহের কেটে যাওয়া থেকে প্রবাহিত রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হাড়ের সুরক্ষা দেয়। অন্যদিকে পটাশিয়াম রক্তের চাপ স্বাভাবিক রেখে আমাদের হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক কালো হয়
আঙ্গুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আঙ্গুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ কোষের ফ্রি রেডিকেল গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ফলে এটি ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো মরণঘাতি রোগ প্রতিরোধ করে। সুতরাং নিয়মিত আঙ্গুর খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওজন নিয়ন্ত্রণে আঙ্গুর
আঙ্গুর খুব সহজেই ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পানি থাকার কারণে ফলটি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। তাই যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত আঙ্গুর ফল খেতে পারেন। কারণ আঙ্গুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর এবং অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বের করে দিয়ে ওজন হ্রাস করে এবং শরীরের ফিটনেস ধরে রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক দিনে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম আঙ্গুর খেতে পারেন।
আঙ্গুর ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াবে
আমরা জানি, আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আঙ্গুরের এসব গুণাবলী ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তুলে। এর ফলে ত্বকে কালো দাগ ছোপ, বলে রেখা এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।
![]()  | 
| আঙ্গুর-খাওয়ার-উপকারিতা-অপকারিতা। ছবি - এআই | 
তাই আপনি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে চাইলে নিয়মিত আঙ্গুর খেতে পারেন আর কয়েক দিনের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন।
হৃদপিণ্ড ভালো রাখবে আঙ্গুর
আঙ্গুরের বিভিন্ন রকম খনিজ বিশেষ করে পটাশিয়াম ও ভিটামিন হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে। দেখা গেছে পটাশিয়াম রক্তের চাপ স্বাভাবিক রেখে হার্ট কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে আঙ্গুরের ফাইটোকেমিক্যাল হার্টের পেশিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সহায়তা করে।
আঙ্গুর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
আঙ্গুরের পুষ্টিকর গুনাগুন আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম। এর ফলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং ডায়াবেটিসের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
সুতরাং কেউ নিয়মিত আঙ্গুর খেলে ব্লাড সুগার লেভেল স্বাভাবিক থাকবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চুলের সৌন্দর্যে আঙ্গুর
আমরা সাধারণত আঙ্গুর ফল খেয়ে তার বিচিগুলো ফেলে দিই। কিন্তু আঙ্গুরের বিচি গুলো না ফেলে এটি চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রথমে আঙ্গুরের বীজ পেস্ট করে অলিভ অয়েলে মিশিয়ে চুলে কিছুক্ষণ মেসেজ করুন। দেখা গেছে এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। আর ভিটামিন ই চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয় এবং চুল সাদা হয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারে।
আঙ্গুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে
নিয়মিত কেউ আঙ্গুর খেলে তার স্মৃতিশক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আঙ্গুর ফল খাওয়ার অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ বাড়িয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। সুতরাং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত আঙ্গুর ফল খেতে পারেন।
আ্যালঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া থেকে মুক্তি দেবে আঙ্গুর
আপনাদের যাদের প্রায়ই সময় মাথা ব্যথা করে এবং সহজে কোন কিছু মনে রাখতে পারেন না তারা নিয়মিত আঙ্গুর খেতে পারেন। কারণ ডিমেনশিয়া রোগ হলে মানুষ সহজে কোন কিছু মনে রাখতে পারে না। তাই বিশেষজ্ঞ গণ বলেন, নিয়মিত কেউ আঙ্গুর ফল খেলে তার অ্যালঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া থেকে মুক্তি পাবেন।
আরো পড়ুন: নার্ভের রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
এছাড়াও নিয়মিত ভাবে পরিমিত আঙ্গুর খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, রক্তে কোলেস্টোলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে, চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা আঙ্গুর খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি এ বিষয়ে ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন, এবার আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা বা খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা
আঙ্গুর ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, আঙ্গুর ফল কখনোই বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারণ আঙ্গুর বেশি খাওয়ার অভ্যাস করলে কারো কারো ক্ষেত্রে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।
- আঙ্গুর খেলে অনেক সময় পেটে নানা রকম সমস্যার কারণ হতে পারে। কারো কারো পেটে গ্যাস, পেট ব্যথা এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাদের এই সকল সমস্যা আছে তারা আঙ্গুর এড়িয়ে চলতে পারেন।
 - যাদের কিডনির সমস্যা এবং রক্তে সুগারের সমস্যা জনিত কারণে ওষুধ সেবন করেন তাদের বেশি মাত্রায় আঙ্গুর খাওয়া কখনোই উচিত নয়। কারণ আঙ্গুর খেলে ওষুধের প্রভাব অনেকটাই কমে যেতে পারে। এ সকল সমস্যা থেকে থাকলে আঙ্গুর এড়িয়ে চলায় উত্তম।
 - গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া উচিত নয়। কারণ আঙ্গুরে থাকা বিশেষ উপাদান গর্ভের সন্তানের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। ভবিষ্যতে শিশুটির পেটের সমস্যা সহ বিভিন্ন রকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আঙুরে বিদ্যমান রেসভেরাট্রল, একটি শক্তিশালী পলিফেনল যা বিকাশ মান ভ্রূণের অগ্ন্যাশয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই এদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
 - যারা এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের আঙ্গুর এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আঙ্গুরে থাকা তরল প্রোটিন অনেক সময় এলার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
 
FAQ: প্রশ্নোত্তর - আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
১। প্রশ্ন: আঙ্গুর কখন খাওয়া উচিত?
উত্তর: আঙ্গুর দিনের বেলা দুপুরের খাবারের পর অথবা সন্ধ্যার নাস্তার সময় খাওয়া উচিত। কারণ কারো এসিডিটির সমস্যা থাকলে রাতে খেলে পেটের হজমে সমস্যা হতে পারে।
২। প্রশ্ন: বেশি আঙ্গুর খেলে কি হয়?
উত্তর: বেশি আঙ্গুর খেলে এসিডিটির সমস্যা, পেট ব্যথা ও হজমের সমস্যা হতে পারে।
৩। প্রশ্ন: প্রতিদিন কতটুকু আঙ্গুর খাওয়া উচিত?
উত্তর: প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি আঙ্গুর খাওয়া স্বাভাবিক।
আরো পড়ুন: টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
৪। প্রশ্ন: সকালে খালি পেটে আঙ্গুর ফল খেলে কি হয়?
উত্তর: সকালে খালি পেটে আঙ্গুর ফল খেলে হজম শক্তি বাড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে কিন্তু এসিডিটির সমস্যা থাকলে আঙ্গুর ফল খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।
৫। প্রশ্ন: আঙ্গুর এর ইংরেজি কি?
উত্তর: আঙ্গুরের ইংরেজি হল Grape.
সর্বশেষ কথা - আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনে ভরপুর আঙ্গুর ফলের অনেক উপকারিতা গুণ রয়েছে। আঙ্গুর খেলে হার্ট ভালো থাকে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে ওজন হ্রাস করে এবং মাথাব্যথা ও ডিমেনশিয়া রোগ প্রতিরোধ করে। তবে চিকিৎসকন মনে করেন কারো দাঁত বা মাটি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে এবং যারা রক্তপাতলা রাখার মেডিসিন নিয়মিত খান তাদের আঙ্গুর খাওয়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সত্ত্বেও আঙ্গুর পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়া কখনো উচিত নয়। কারণ আঙ্গুর বেশি খেলে কারো কারো জন্য বিপদজনক হতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বুঝতে পেরেছেন। লেখাটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ রইল যেন অন্যরাও উপকৃত হতে পারেন। আপনার সুচিন্তিত কোন মতামত থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে লিখে জানাতে পারেন। আজকের লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।




এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url