শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় - ১০টি টিপস

শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় - ১০টি টিপস।আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক আপনি কি শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় নিয়ে চিন্তিত? এই শীতে কি আপনার চুল পড়া বাড়ে? তাহলে শীতে চুলের যত্নে ১০টি ঘরোয়া টিপস জেনে রাখুন। আশা করি এখানেই আপনি আপনার চুলের সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
শীতে-চুলের-যত্নে-ঘরোয়া-উপায়-১০টি-টিপস
শীতে-চুলের-যত্নে-ঘরোয়া-উপায়-১০টি-টিপস। ছবি - এআই
শীতকাল এলেই যেন চারিদিকে সুস্থতা ও রুক্ষতা বেড়ে যায়। আর এ সময় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চুল মানব সৌন্দর্যের এক অপরিহার্য অংশ। চুল ছোট বড় যাই হোক না কেন, সুন্দর সুস্থ সতেজ চুল আপনার সৌন্দর্য অনেকক্ষণ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। তাই অবহেলা না করে অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতে চুলের বাড়তি যত্ন নিতে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন।

শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় - ১০টি টিপস

শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে ১০টি টিপস জেনে নিন। শীতকালে চুলের বাড়তি যত্ন নিতে বিধি নিষেধ সহ জেনে রাখুন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সমাধান। শীতকাল মানেই শুষ্ক আবহাওয়া এবং বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া। এর ফলে আমাদের ত্বকে এবং চুলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে এ সময় ত্বকের যত্ন নিলেও চুলের যত্নে থাকে একেবারেই উদাসীন। তাতে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, প্রাণহীন ও মলিন। এতে আপনার চুল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেবারেই হারিয়ে ফেলে। তাই চলুন অবহেলা না করে শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে ১০টি টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

১. ভালোভাবে চুল আঁচড়ান

পরিষ্কার ও পরিবেশ বান্ধব চিরুনি দিয়ে নিয়মিত চুল আঁচড়ালে আপনার মাথার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল সুস্থ থাকে। তাছাড়া শীতের সময় ঠান্ডা থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় আমরা চুলসহ মাথা বেঁধে রাখি। এ সময় সহজেই চুলে জট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে চুল ভেঙ্গে যাওয়া বা ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হতে পারে। তাই নিয়মিত চুল আঁচড়ালে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই শীতে চুলের যত্নে নিয়মিত ভাবে চুল আঁচড়াতে হবে।

২. শীতে মাথার ত্বক ও চুল পরিষ্কার রাখা

তাহলে হেলদি চুলের জন্য আপনার মাথার ত্বক এবং চুল পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরী। যেহেতু শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, ফলে আপনার মাথার স্ক্যাল্পে সহজেই ময়লা, ধুলাবালি জমতে পারে। আর এই ধুলোবালি, ময়লা জমে মাথায় খুশকি হতে পারে। আর মাথার খুশকি হলো চুল পড়ার ও চুল রুক্ষ হওয়ার অন্যতম কারণ। এতে আপনার চুল হয়ে পড়বে নিস্তেজ এবং প্রাণহীন।
অবশ্য যারা বাইরে প্রতিনিয়ত ঘোরাফেরা করেন তাদের চুলে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই বাইরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল ভালোভাবে ঢেকে নিন। তাহলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবেন।

৩. চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন

প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনার চুলের রুক্ষতা দূর করতে তেল ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। সপ্তাহে অন্তত ২বার চুলে তেল ব্যবহার করা উচিত। এতে করে আপনার চুল থাকবে সতেজ এবং প্রাণবন্ত। এজন্য রাতে ভালো মানের তেল আপনার চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং সকালে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে করে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল থাকবে মোলায়েম - মসৃণ।
আরো পড়ুন: প্যারাসুট নারিকেল তেল ব্যবহারের উপকারিতা
শীতে-চুলের-যত্নে-ঘরোয়া-উপায়
শীতে-চুলের-যত্নে-ঘরোয়া-উপায়। ছবি - এআই
তবে খেয়াল রাখবেন চুলে তেল দিয়ে অনেকটা সময় রেখে দেবেন না, কারণ এতে আপনার চুলে ময়লা জমে চুল হয়ে উঠবে চিটচিটে। সুতরাং শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪. শীতে চুলের যত্নে ভিনেগার

অনেকেই শীতকালে চুলের রুক্ষতা এবং খসখসে ভাব দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার বা অন্য যেকোনো ভিনেগার ব্যবহার করে থাকেন। কারণ ভিনেগার চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে থাকে। তাই ভিনেগার ব্যবহার করলে আপনার চুল থাকবে সতেজ, মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্জল। এজন্য প্রথমেই আপনাকে মাঝারি সাইজের একটি মগে পানি নিতে হবে। তারপর ২ চামচ ভিনেগার ওই মগের পানের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর আপনার চুলে শ্যাম্পু করা হয়ে গেলে এই ভিনেগার মিশ্রিত পানি আপনার চুলে ভালো হবে ঢেলে দিন। খেয়াল রাখবেন ভিনেগার মিশ্রিত পানি যেন আপনার সম্পূর্ণ চুলে পৌঁছায়। তারপর চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এবার দেখুন আপনার চুল বেশ মসৃণ এবং আকর্ষণীয় হয়ে গেছে।

৫. অ্যালোভেরা জেল দিয়ে শীতে চুলের যত্ন

অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের রয়েছে কার্যকরী এবং যাদুকরি ভূমিকা। অ্যালোভেরা হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার গুণে ভরপুর। এজন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার চুলে ভালোভাবে মাথায় ম্যাসাজ করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
তারপর চুলগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে দিন। এবার দেখবেন আপনার চুলের রুক্ষভাবে চলে গিয়ে চুলে সিল্কি ও সফ্ট ভাব চলে এসেছে। এর ফলে আপনার চুল দেখাবে মোলায়েম, মসৃণ এবং আকর্ষণীয়।

৬. শীতে ভেজা চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন

শীতকালে রোদের প্রখরতা কম থাকে। তাই গোসলের পর ভেজা চুল শুকাতে দেরি হয়। এজন্য গোসলের পর চুল ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। প্রয়োজনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট তোয়ালে দিয়ে চুল ভালোভাবে বেঁধে রাখুন। এতে করে ভেজা চুলে জমে থাকা পানি তোয়ালে ধীরে ধীরে শুষে নেবে। এরপর ফ্যানের বাতাস অথবা প্রাকৃতিক বাতাসে আপনার চুলগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এ সময় গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চুল ঝাড়া একেবারেই উচিত নয়। কেননা এতে চুল ফেটে যেতে পারে এবং চুলের বিশেষ ক্ষতি হতে পারে।
শীতে-চুলের-যত্ন
শীতে-চুলের-যত্ন। ছবি - এআই

৭. শীতে চুলের রুক্ষতা দূর করবে মধু

ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মধু খুবই উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। শীতের শুষ্কতায় আপনার চুল কি রুক্ষ হয়ে গেছে? কোন চিন্তা না করে আপনার চুলের গোড়ায় মধু ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। এবার একটি পরিষ্কার তোয়ালে গরম পানিতে ভালোভাবে ভিজিয়ে নিন। তারপর তোয়ালে থেকে পানি ভালোভাবে নিংড়িয়ে নিন। এরপর সেই তোয়ালে দিয়ে চুল সহ আপনার মাথা ভালো ভাবে ঢেকে রাখুন। এভাবে কিছুক্ষণ রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। লক্ষ্য করে দেখুন - আপনার চুলের রুক্ষভাব চলে গেছে এবং চুল সতেজ-মসৃণ দেখাচ্ছে।

৮. শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া মাস্ক

শীতকালে আবহাওয়া এমনিতেই শুষ্ক এবং রুক্ষ থাকে। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম থাকে। ফলে বাতাসের আর্দ্রতাও কম থাকে। এতে করে আপনার চুল রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে খুব সহজেই ঘরোয়া মাস্ক তৈরি করতে পারেন। যার ফলে আপনার চুল হবে সতেজ এবং প্রাণবন্ত। চলুন জেনে নেয়া যাক চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া মাস্ক -

মধু, তেল ও পালংশাকের মাস্ক

শীতকালে আপনার চুলকে সতেজ এবং সিল্কি করতে প্রথমে ১ চামচ মধু নিন। এরপর ১ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল তেলের সাথে আধা কাপ পালং শাক বাটা মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক তৈরি করুন। এরপর তৈরি প্যাকটি সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। সবশেষে শ্যাম্পু করে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার চুল দেখাবে প্রাণবন্ত এবং মসৃণ।

তেল, ভিটামিন সি এবং কুসুমের মাস্ক

আপনি কি আপনার চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন? আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ২ চামচ নারকেল তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল এর সাথে ভিটামিন সি ক্যাপসুল ও ১টি ডিমের কুসুম ভালো ভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি আপনার চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্ক ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হবে। দেখবেন আপনার চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে এবং চুল সতেজ-প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

কলা, মধু ও তেলের মাস্ক

আপনার চুল কি দিন দিন রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? শীতকালে আপনার চুল তো রুক্ষ হতেই পারে। তাহলে একটি পাকা কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে তার সাথে এক চামচ মধু এবং এক চামচ নারকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে ঘরোয়া মাস্ক তৈরি করুন। এরপর সেই মাস্ক আপনার চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। তারপর কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার রুক্ষ চুল হয়ে উঠবে মোলায়েম এবং মসৃণ।

পানি ও মধুর ঘরোয়া মাস্ক

এই শীতে আপনি কি আপনার চুল নরম এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে চান? তাহলে ঝটপট ঘরে থাকা মধু এবং পানি দিয়ে সহজেই একটি ঘরোয়া মাস্ক তৈরি করে নিন। এইজন্য প্রথমেই আপনাকে আধা কাপ মধু ১ মগ পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আপনার মাথার চুলে শ্যাম্পু করা হয়ে গেলে সেই মধু মিশ্রিত পানি ধীরে ধীরে আপনার চুলে ম্যাসাজ করতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে সম্পূর্ণ চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এর ফলে আপনার চুল হবে নরম এবং সতেজ - প্রাণবন্ত।

৯. চুলের আগা কাটা ও গরম পানি না দেওয়া

শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার ফলে আপনার চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে চুলের আগা ফেটে যায়। এই চুলের আগা ফেটে যাওয়া অংশটুকু কেটে ফেলে দেওয়াই উত্তম। এতে করে আপনার চুল আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং চুল ঘন হবে। অনেকে শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে গরম পানি চুলে ও শরীরে ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে চুলের গোড়া একেবারেই নরম হয়ে যায় এবং চুলের নানা রকম ক্ষতিসাধন করে। আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন চুলে স্বাভাবিক পানি ব্যবহার করায় উত্তম। অর্থাৎ শীতকালে চুলের যত্নে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১০. শীতে চুল ঢেকে রাখুন

ঠান্ডা আবহাওয়া শীতের রুক্ষতা এবং কুয়াশার হাত থেকে মুক্তি পেতে চুল ভালোভাবে ঢেকে রাখুন। যেহেতু শীতকালে আবহাওয়া শেষ কোথা থেকে সেহেতু এ সময় বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণও বেশি থাকে। তাই বাইরের কাজে বের হওয়ার আগে আপনার চুল পাতলা কাপড় বা ওড়না দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।

শীতে চুলের যত্নে এক্সট্রা টিপস

শীতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকার কারণে আবহাওয়া অনেকটাই শুষ্ক ও রুক্ষ থাকে। এ সময় আমাদের ত্বক ও চুল প্রাণ হীন নিস্তেজ ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। এজন্য ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও এক্সট্রা কেয়ারিং করা উচিত। এজন্য আমাদের ওপরের ১০টি ঘরোয়া টিপস মেনে চলার পাশাপাশি নিচের পদ্ধতিগুলো ফলো করাও উচিত।
  1. নিয়মিত হেয়ার কেয়ারে হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
  2. শ্যাম্পু করার শেষে আপনার চুলের ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
  3. চুলের সুস্থতা ও রুক্ষতা দূর করে সফট ও সাইনিং চুল পেতে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
  4. চুলের পুষ্টি জোগাতে প্রতিদিন একটি ডিম এবং নিয়মিত পালং শাক, মিষ্টি আলু, বাদাম জাতীয় বীজ এবং আ্যাভোকাডো ফল খেতে পারেন।
  5. ভিটামিন ডি চুলের বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, তাই প্রতিদিন কিছুক্ষণ আপনার চুলে রোদ লাগান।
  6. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  7. প্রতিদিন পর্যাপ্ত রেস্ট নিন এবং দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান।
শীতকালে আমাদের ত্বকের চেয়ে চুলের ভিন্নতা যাচাই-বাছাই করা বেশি কষ্টকর। তাই আপনার চুলের ধরন বুঝে ঘরোয়া মাস্ক, হারবাল শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।

FAQ: প্রশ্নোত্তর - শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়

১। প্রশ্ন: চুলের যত্নে প্রতিদিন কি কি করনীয়?
উত্তর: চুলের যত্নে সপ্তাহে ২/৩ দিন চুলে তেল দেওয়া, সপ্তাহে ২ দিন শ্যাম্পু করা, চুলের ধরন অনুযায়ী গোসলের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা, ভেজা চুল সাবধানে আঁচড়ানো, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
২। প্রশ্ন: কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়?
উত্তর: চুল গজানোর নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই, তবে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৩। প্রশ্ন: শীতকালে চুল পড়ার কারণ কি?
উত্তর: শীতকালে চুল পড়ার কারণ গুলো হল শুষ্ক আবহাওয়া, আর্দ্রতার অভাব, পুষ্টিকর খাবারের অভাব, ধুলোবালির প্রকট এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা।

সর্বশেষ কথা - শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়

শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা খুবই কম থাকে। এর ফলে আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। সে হিসেবে আপনি আপনার চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার ও মেনে চলতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার কাঙ্খিত সুন্দর ও সতেজ চুল পেতে পারেন। প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা শীতে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে ১০টি টিপস আপনাদের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি উপরোক্ত টিপস গুলো ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এ সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আজকের লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো যেন তারাও উপকৃত হতে পারেন। সেটে চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় শিরোনামের লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url