ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্ক
ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্ক।আপনি কি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে ইসলামিক উক্তি, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক, স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে কোরআনের আয়াত, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে হাদিস, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্ক বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আজকের লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
![]() |
স্বামী-স্ত্রীর-আদর-ভালোবাসা। ছবি - এআই |
ইসলামিক দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক একটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মধুর বন্ধন। আর এই মধুর সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালবাসা, সহযোগিতা, সহানুভূতি ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্কে।
ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্ক
মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একজন মানুষ থেকে। আর এই একজন মানুষ থেকে তিনি তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন। তাদের দুজনের মধ্যে নিবিড় প্রেম, আদর, ভালোবাসা দিয়ে সুসম্পর্ক তৈরি করেছেন। পরবর্তীতে এই দুইজন ব্যক্তি থেকে বহু মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আদর, ভালবাসা, সম্মান, মায়া, মমতা থাকবে-এটাই স্বাভাবিক! ইসলামে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুত্বের। আল্লাহ তাআলা স্বামী স্ত্রীর পরস্পরের মধ্যে প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসা দান করেছেন। আর আদর ও ভালোবাসা দিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাব্বুল আলামীন আল কোরআনের সূরা আন নিসা এ এরশাদ করেছেন,
আরবি উচ্চারণ:
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرً وَنِسَاءً
বাংলা উচ্চারণ:
ইয়া আয়ুহান আলন্না সুত্তাকু রাব্বাকুম আল্লাদি খালাকাকুম মিন নাফসিওঁ ওয়াহিদাতিওঁ ওয়া খালাক্বা মিনহা জাওজাহা ওয়াবাথ মিনহুমা রিজালান কাথিরান ওয়া নিসা।
বাংলা অর্থ:
হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি (হযরত আদম আঃ) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তার সঙ্গিনী (বিবি হাওয়া আঃ) সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের উভয় থেকে বহু মানুষকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। (সূরা আন নিসা: আয়াত নং ১)
আরো পড়ুন: দাম্পত্য জীবন সুখের হোক-ইসলামী নির্দেশনা।
স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে আদর ভালোবাসা -একটি সহজাত প্রকৃতি। মহান আল্লাহ তায়ালা স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাদের স্বামীদের প্রশান্তি ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। স্বামী স্ত্রীর মাঝের আদর ও ভালোবাসাকে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টি ও ক্ষমতার নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা'আলা সূরা আর রূম এ এরশাদ করেছেন,
আরবি উচ্চারণঃ
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ
ওয়া মিন আ-ইয়া তিহী আন খালাকা লাকুম মিন আনফুশি কুম আজ ওয়া জাল-লিতাস কুনূ ইলাইহা ওয়া জা আলা বাইনাকুম মাওয়াদ্দাতাওঁ ওয়া রাহমাতান ইন্না ফি জা-লিকা লা আইয়া তিল লিাও মিই ইয়াতাফাক্কারুন।
বাংলা অর্থঃ
আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নির্দেশনাবলী রয়েছে। (সূরা আর রূম: আয়াত নং ২১)
![]() |
স্বামী-স্ত্রীর-আদর-ভালোবাসা। ছবি - এআই |
মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম আঃ এর বাম পাজরের ছোট হাড় থেকে তিনি মা হাওয়া আঃ কে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ যদি সকল বনি আদমকে পুরুষ বানাতেন এবং তাদের নারীদেরকে অন্য জাতি থেকে যেমন জিন কিংবা পশু-পাখি থেকে বানাতেন, তাহলে তাদের মাঝে ও তাদের স্ত্রীদের মাঝে এ ধরনের ভালোবাসা বন্ধন তৈরি হতো না। এজন্য মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ হচ্ছে যে, তিনি তাদের স্ত্রীদেরকে তাদের জাতি থেকেই সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের পরস্পরের মাঝে অনুরাগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন যেটা হল - আদর ও ভালোবাসা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা'আলা সূরা আরাফে এরশাদ করেছেন,
আরবি উচ্চারণঃ
هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا
বাংলা উচ্চারণঃ
হু আল্লাদি খালাকাকুম মিন নফস ওয়াহিদাত ওয়াজায়েল মিনহা জাওজাহা লিয়াস্কুন ইলাইহা
বাংলা অর্থঃ
তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার সঙ্গীনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে সে তার সাথে নিরাপদে বসবাস করতে পারে। (সূরা আরাফ: আয়াত নং ১৮৯)
স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা বৃদ্ধিতে দোয়া
মহান আল্লাহ তায়ালা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যে ভালোবাসা ও মহব্বতের পবিত্র সম্পর্ক দিয়েছেন, এটাতে তাঁর রহমত ও বরকত রয়েছে। কিন্তু এই মধুর সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন করার জন্য শয়তান সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। তাই স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের মধুর প্রেমময় এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এবং আদর ও ভালবাসা বৃদ্ধি করতে আমাদের বেশি বেশি দোয়া ও আমল করা উচিত। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা আল ফুরকান এ বলেছেন,
আরবি উচ্চারণঃ
وَالَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا
বাংলা উচ্চারণঃ
অল্লাজিনা ইয়া কুলুনা রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়া জিনা অর্জুরিয়্যা তিনা কুররাতা আইয়্যুনিওঁ ওয়াজ।
বাংলা অর্থঃ
যারা (এই) বলে (দোয়া করে যে), হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পক্ষ হতে দান করো নয়ন প্রীতি এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানাও। (সূরা আল ফুরকান: আয়াত নং ৭৪)
আশা করি, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্কে হাদিস
একটি সুন্দর, সুখী ও আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী-স্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর হৃদ্যতা গড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মধুর ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে বেশ কিছু হাদিস রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যা্ স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্কে হাদিস।
১। বিশিষ্ট সাহাবী উকবা ইবনে আমির রাঃ বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উভয় জাহানের মুক্তির পথ কী জানতে চাইলাম। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কথাবার্তায় সংযমী হও, পরিবারের সঙ্গে তোমার অবস্থান যেন দীর্ঘ হয় এবং নিজের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হও। (তিরমিজি: হাদিস নং ২৪০৬)
আরো পড়ুন: দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল।
২। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি আমার স্ত্রীর জন্য পরিপাটি থাকতে পছন্দ করি, যেমন আমিও চাই স্ত্রী আমার জন্য সাজগোজ করুক। (বায়হাকি: ১৪৭২)
৩। হযরত আয়েশা রাঃ কে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি পরিবারের লোকদের ঘরোয়া কাজে সহযোগিতা করতেন?, তিনি বললেন হা, নবীজি ঘরের লোকদের তাদের কাজে সহযোগিতা করতেন এবং নামাজের সময় হলে নামাজের জন্য যেতেন। (বুখারী: হাদিস নং ৬৭৬)
এমনকি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতেই তাঁর পরিধেয় কাপড় চোপড় সেলাই করতেন। প্রয়োজনে নিজের জুতা নিজেই সেলাই করে নিতেন। (মুসনাদে আহমদ: হাদিস নং ২৩৭৫৬)
৪। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা মূলত কাজে প্রমাণ করার বিষয় নয় মাঝেমধ্যে মুখেও প্রকাশ করতে হয়। কেননা স্ত্রীর মন স্বামীর ভালোবাসার কথা শোনার জন্য সব সময় লালায়িত থাকে। তাছাড়া কথার মাধ্যমে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো নবীজির সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময়ে তার প্রিয়তমা স্ত্রীদের বিভিন্ন রোমাঞ্চকর কথা বলতেন। যেমন হযরত খাদিজা রাদি: সম্পর্কে বলেছেন, আমার মনে তার প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দেওয়া হয়েছে। (মুসলিম: হাদিস নং ২৪৩৫)
আরো পড়ুন: ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ।
হযরত আয়েশা রাদি: এর প্রশংসা করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খাবারের মধ্যে সারিদ যেমন সবার সেরা, নারীদের মধ্যে আয়েশা সবার সেরা। (বুখারী: হাদিস নং ৩৪১১)
৫। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র দাম্পত্য জীবনে স্বীয় স্ত্রীদের সঙ্গে আন্তরিকতা এবং রোমান্টিকতার এতসব চিত্র অঙ্কিত রয়েছে, যা একটা আদর্শ দাম্পত্য জীবনের জন্য উৎকৃষ্ট উপমা হতে পারে। হযরত আয়েশা রাদি: বলেন, পাত্রের যে অংশে আমি মুখ রেখে পানি পান করতাম, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাঃ) সেখানেই মুখ লাগিয়ে পানি পান করা পছন্দ করতেন। (মুসলিম: হাদিস নং ৩০০)
হযরত আয়েশা রাদি: আরো বলেন, কখনো আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করতাম এবং আমাকে খুশি করতে তিনি প্রতিযোগিতায় ইচ্ছাকৃত করেই নিজেকে পেছনে ফেলে দিতেন। (মুসনাদে আহমদ)
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালোবেসে কখনো কখনো আমার নাম হুমায়রা বা লাল গোলাপ বলে ডাকতেন। (ইবনে মাজাহ: হাদিস নং ২৪৭৪)
৬। হযরত আয়েশা রাদি: বলেন, আমি হযরত খাদিজা রাদি: ছাড়া নবী সাঃ এর প্রত্নীদের আর কাউকে ঈর্ষা করেনি, যদিও আমি তাকে তেমন পাইনি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বকরি জবেহ করতেন তখন বলতেন, এর গোশত খাদিজার বান্ধবীদের পাঠিয়ে দাও। একদিন আমি তাঁকে (রাসূলুল্লাহ সাঃ) রাগান্বিত করলাম আর বললাম, খাদিজাকে এতই ভালোবাসেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, তার (খাদিজা) ভালোবাসা আমার অন্তরে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। (মুসলিম: হাদিস নং ২৪৩৫)
আশা করি, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সকল বক্তাদের মোবাইল নাম্বার।
সর্বশেষ কথা -ইসলামে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্ক
স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক সে সম্পর্ক আদর ও ভালবাসা গড়ে ওঠে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, সম্মান, শ্রদ্ধা ও আস্থার ওপর। দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক কেমন হবে তা তাদের নিজেদের ওপরেই নির্ভর করে। দুজনের এই মধুর ভালবাসা সম্পর্ককে আমরণ টিকিয়ে রাখতে দুজনেরই সচেতন থাকা উচিত। প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা স্বামী-স্ত্রীর আদর ভালোবাসা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিস থেকে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি লেখাটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইল। লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url