হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল। আপনি কি রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, ঋণ মুক্তি ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, স্বামীর রিযিক বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? রিজিক হল মহান আল্লাহ তায়ালার দেওয়া বিশেষ এক নেয়ামত। তাই আজকের লেখাটি পড়লে আপনি হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
![]() |
হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল। ছবি-এআই |
শুধুমাত্র মানুষ নয়, বিশ্বের সকল প্রাণীর জীবনধারণের জন্য রিজিক প্রয়োজন। প্রত্যেকটা প্রাণীর জীবনে রিজিকের গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম। আর এই রিজিক একমাত্র মহান আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে আসে। আজকের লেখাটি পড়লে আপনি রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল এবং রিজিক নিয়ে আল্লাহর বাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
রিজিক বৃদ্ধির দোয়া
রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ দান ও নেয়ামত। রিজিক একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত হয়ে থাকে। একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালাই হলেন সকল প্রাণীর রিজিকদাতা। রিজিক চাইতে হলে শুধুমাত্র তাঁর (আল্লাহর) কাছেই চাইতে হবে। মানুষসহ প্রত্যেকটি প্রাণীর জন্য রিজিক নির্ধারিত রয়েছে।
হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
হালাল-হারাম একমাত্র মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। তাই হালাল রিজিক তালাশ করার জন্য ইসলামের বিধি-বিধান মেনে অন্বেষণ করতে হয়। যেহেতু পৃথিবীর সকল প্রাণীর রিজিকদাতা হলেন একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা। কাজেই প্রতিটি মুসলিমের উচিত হালাল রিজিক খোঁজ করা। এজন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাঃ দিকনির্দেশনা ও পরামর্শের মাধ্যমে হালাল রিজিক তালাশ করতে হয়। মহান আল্লাহর উপর ভরসা, নিয়মিত দোয়া ও সৎকাজের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি করা সম্ভব। এই হালাল রিজিক প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরীফের সূরা জুমুআহ'তে এরশাদ করেছেন,
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
বাংলা অর্থ: অতঃপর যখন সালাত সমাপ্ত হবে তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং মহান আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো। আল্লাহকে স্মরণ করো বেশি বেশি, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমুআহ: আয়াত নং ১০)
হালাল রিজিক বা উত্তম উপার্জন একজন মুসলিমের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ রিজিক দানকারী এবং তিনি যেভাবে চান, সেভাবেই রিজিক দান করেন। তবে মু'মিনদের জন্য কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে দোয়া বা প্রার্থনা করাই যথেষ্ট নয় বরং রিজিকের ব্যাপারে বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা তাদের জীবনকে সহজ করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নৈকট্য লাভ করে। হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
হালাল রিজিক বৃদ্ধি নিয়ে আল-কোরআনের বাণী
একজন মুমিনের জন্য হালাল রিজিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা রিজিক হালাল না হলে তার কোন ইবাদতই মহান আল্লাহর কাছে কবুল হয় না। তাই ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হালাল রিজিক। আর এ হালাল রিজিক সম্পর্কে আল কোরআনে মহান আল্লাহতালা বেশ কিছু জায়গায় দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা হুদ এ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন,
وَمَا مِن دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا ۚ كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
বাংলা অর্থ: আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে প্রত্যেকের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি জানেন, তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে। (সূরা হুদ: আয়াত নং ৬)
শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া বা অর্থ-সম্পদই রিজিক নয়। আমরা পুরো জীবন জুড়ে যা পাই, যা অর্জন করি তা সবই হলো রিজিক। রিজিক প্রতিটি প্রাণীর জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে। তবে রিজিকের জন্য চেষ্টা করতে হবে। আর একমাত্র রিজিকদাতা হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। কোরআন মসজিদে সূরা আয-যারিয়াতে মহান আল্লাহতালা উল্লেখ করেন,
إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ
বাংলা অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'য়ালা রিজিকদাতা এবং মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী। (সুরা আয-যারিয়াত: আয়াত নং ৫৮)
রিজিক একমাত্র মহান আল্লাহ তা'য়ালার কাছ থেকেই আসে। তাই হালাল রিজিক একমাত্র মহান আল্লাহর কাছ থেকেই চাইতে হবে। কেননা তিনি আমাদের রিজিক দিতে পারেন, আবার ইচ্ছে করলেই রিজিক বন্ধ করে দিতেও পারেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা'য়ালা আল কোরআনের সূরা মূলক এ উল্লেখ করেছেন,
أَمَّنْ هَـٰذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ ۚ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
বাংলা অর্থ: যদি তিনি (আল্লাহ) রিজিক বন্ধ করে দেন, তবে কে আছে যে তোমাদেরকে রিজিক দেবে! বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে রয়েছে। (সূরা মুলক: আয়াত নং ২১)
![]() |
হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল। ছবি-এআই |
হালাল রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল
রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ নেয়ামত। যা একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকেই নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাইতো মহান আল্লাহর আরেক নাম 'রাজ্জাক' বা রিজিকদাতা। মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও দিক-নির্দেশনার মাধ্যমেই আমাদেরকে হালাল রিজিক চাইতে হবে। কেননা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া রিজিক বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তাই হালাল রিজিক বাড়াতে আমাদের বিশেষ আমল করতে হবে। বেশ কিছু আমল আল কোরআন ও আল হাদীসের মধ্যে রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে দরিদ্রতা দূর হয়ে হালাল রিজিক বৃদ্ধি পায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, হালাল রিজিক বৃদ্ধির আমলগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
১। হালাল রিজিক বৃদ্ধি করতে চাইলে বান্দাকে তার তাকওয়া (আল্লাহ-ভীতি) এর উপর সর্বদাই অটল থাকতে হবে। আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ও বিশ্বাস রেখে তাঁকে যিনি ভয় করবেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দাকেই বরকত দান করেন। এই প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনের সূরা তালাক এ এরশাদ করেছেন,
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
বাংলা অর্থ: এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনি যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সব কিছুর জন্য একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। (সূরা তালাক: আয়াত নং ৩)
২। হালাল রিজিক বৃদ্ধি করতে এবং দারিদ্র্য বা অভাব দূর করতে প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করা উত্তম। কেননা সূরা ওয়াকিয়াকে প্রাচুর্যের সূরা বলা হয়। মু'মিন বা সত্যবাদীদের প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনের সূরা ওয়াকিয়াতে বলেছেন,
فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّتُ نَعِيمٍ
বাংলা অর্থ: তবে তার (সত্যবাদী) জন্য আছে সুখ, উত্তম রিজিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান। (সূরা ওয়াকিয়া: আয়াত নং ৮৯)
এ প্রসঙ্গে এক হাদীস থেকে জানা যায়, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, তাকে দরিদ্রতা বা অভাব কখনোই স্পর্শ করতে পারবে না। (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান ২৪৯৮)
৩। বেশি বেশি দান-সদকা করার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি পায়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা সাবা তে বলেছেন,
قُلْ إِنَّ رَبِّي يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ ۚ وَمَا أَنفَقْتُم مِّن شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ ۖ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
বাংলা অর্থ: বলুন, আমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং সীমিত পরিমাণে দেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেন। তিনি উত্তম রিজিকদাতা। (সূরা সাবা: আয়াত নং ৩৯)
সুতরাং হালাল রিজিক বৃদ্ধির জন্য আমাদের বেশি বেশি দান-সদকা করা উচিত।
![]() |
হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল। ছবি-এআই |
৪। হালাল রিজিক বৃদ্ধিতে নিয়মিত ঈমানের চর্চা করুন এবং সময়মত সালাত আদায় করুন। আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে আল্লাহ খুশি হয়ে রিজিক বৃদ্ধি করে দেবেন ইনশাআল্লাহ। যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকে, মহান আল্লাহ সে ব্যক্তির রিজিকে বরকত দেবেন।
৫। আল্লাহ তওবা ও ইস্তেগফারকারীকে বেশ পছন্দ করেন। বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করলে মহান আল্লাহ তা'য়ালা বান্দার হালাল রিজিকে বরকত দেন। তাছাড়া বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করলে মহান আল্লাহ তা'য়ালা বান্দার দুশ্চিন্তা, depression দূর করে দেন এবং উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা নূহ এ এরশাদ করেছেন,
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارً وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارً
বাংলা অর্থ: অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন। (সূরা নূহ: আয়াত নং ১০, ১২)
তাই হালাল রিজিক বাড়াতে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করা উত্তম।
সুতরাং পবিত্রতা অর্জন করে উপরোক্ত আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করলে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করবেন এবং বরকত দান করবেন ইনশাআল্লাহ। তাই মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপরোক্ত আমলগুলো পালন করার তৌফিক দান করুন।
ধৈর্য্য ধারণ করা
রিজিক হল মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ দান। আর কখনো কখনো এই রিজিক মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দেরিতে আসে। এ সময় একজন মুমিন হিসেবে ধৈর্য্য ধারণ করা এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস রেখে অপেক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনের সূরা আল আহযাব এ এরশাদ করেছেন,
বাংলা অর্থ:
যারা ধৈর্য্য ধারণ করে, তাদেরকে তাদের পুরস্কার দ্বিগুণ দেওয়া হবে। (সূরা আল আহযাব: আয়াত নং ১১)
সুতরাং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে, ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে হালাল রিজিকের জন্য দোয়া করা উত্তম।
কিছু কিছু দোয়া ও আমলের মাধ্যমে আমরা আমাদের রিজিক বাড়াতে পারি। আবার কিছু অপকর্মের কারণে আমাদের রিজিকের বরকত কমে যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব কারণে আমাদের রিজিকের বৃদ্ধি বা বরকত আসে সেই গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
যেসব দোয়া ও আমলে রিজিক বৃদ্ধি বা বরকত আসে-
- আল্লাহ ভীতি বা তাকওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের রিজিকের বরকত দান করেন।
- আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।
- যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় দান-সদকা বা ব্যয় করবে সে ব্যক্তির রিজিকের বৃদ্ধি বা বরকত হয়।
- ধৈর্য্য ধারণ করে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধি হয়।
- নিয়মিত দোয়ার আমলের মাধ্যমে রিজিকে বরকত হয়।
যেসব কারণে রিজিকে বরকত কমে যায়-
- মহান আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতের প্রতি শুকরিয়া আদায় না করলে রিজিকের বরকত কমে যায়।
- বিভিন্ন পাপ কাজে লিপ্ত থাকলে রিজিকের বরকত বা বৃদ্ধি কমে যায়।
- মিথ্যা কসম কাটলে এবং মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করলে রিজিকের বরকত কমে যায়।
- সুদ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলে রিজিকের বরকত নষ্ট হয়ে যায়।
- যারা রিজিক খুঁজতে গিয়ে হারাম কাজে লিপ্ত হয় তাদের রিজিক কমে যায়।
- যাকাত না দেওয়া, দান সদকা না করলে রিজিক কমে যায়।
- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে রিজিকের সন্ধান না করলে রিজিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- সর্বোপরি মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ধৈর্য্য ধারণ করে রিজিক সন্ধান না করলে রিজিকের বরকত কমে যায়।
সুতরাং যে সব দোয়া ও আমলে আমাদের রিজিক বৃদ্ধি বা বরকত পায় সেগুলো বেশি বেশি আমল করা উচিত এবং যেগুলো কর্মে রিজিকের বরকত কমে যায় সেগুলো থেকে বিরত থাকা উচিত। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার রিজিক দান করুন-আমীন।
আরো পড়ুন:
সর্বশেষ কথা -হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
হালাল রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ নেয়ামত ও দান। আমরা কেবলমাত্র মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই রিজিক পেয়ে থাকি। তাই একমাত্র আমরা মহান আল্লাহর কাছেই রিজিক চাইবো। আজকের লেখনীতে আমরা হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, আপনি হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। লেখাটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। আজকের হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url