চুল পড়া বন্ধ করার উপায় - প্রাকৃতিক ও কার্যকর সমাধান

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় - প্রাকৃতিক ও কার্যকর সমাধান।আজকে আমরা জানবো চুল পড়া বন্ধ করার উপায় - প্রাকৃতিক ও কার্যকর সমাধান সম্পর্কে। চুল পড়া অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা যা একাধিক কারণে ঘটতে পারে। মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা প্রায় দেখতে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ার ফলে মাথায় টাক পড়ে যায়। চলুন আজকে আমরা জেনে নিয়ে চুল পড়ার কারণ, চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।
চুল-পড়া-বন্ধ-করার-উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। ছবি - এআই
আপনার বংশগত যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে তবে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই আজকে আমরা জানবো চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে। আবার হরমোনের পরিবর্তনের ফলে মাথার তালুর চুল পড়ে গিয়ে টাক দেখা দিতে পারে। নিম্নে চুল পড়ার কারণ, লক্ষণ ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায় - সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও কার্যকর সমাধান সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানুন। ঘন, সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য কার্যকর টিপস ও হেয়ার কেয়ার সমাধান এখানেই। চুল আমাদের সৌন্দর্যের অন্যতম প্রধান অংশ। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভাস, দূষণ, চুলের অযত্ন কিংবা ভুল চুলের যত্নের কারণে চুল পড়া আজ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে ৫০ থেকে ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি হলে তা চিন্তার কারণ হতে পারে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো কিভাবে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করা যায় এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখা যায়। এজন্য আমাদের প্রথমেই চুল পড়ার কারণগুলো জানতে হবে। তাহলে চলুন চুল পড়ার কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

চুল পড়ার কারণ

চুল নানা কারণে পড়তে পারে , এটি অত্যন্ত সাধারন একটি সমস্যা যা একাধিক কারণে ঘটতে পারে। নিম্নে চুল পড়ার কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হলো-

প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি

পুষ্টির অভাবে, ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই, খনিজ আয়রন, জিংক সেলেনিয়াম এবং প্রয়োজনীয় প্রোটিন প্রভৃতির অভাবে চুল পড়তে পারে।

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার

ঘন ঘন চুল রং করা, চুলে ট্রেনিং এজেন্ট বা অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহারে চুল পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। ছবি - এআই

চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত কেমোথেরাপি, এজেন্ট এন্টি-ডিপ্রোসিভ ওষুধের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। এগুলোতে অধিক পরিমাণে চুল ঝরতে পারে।

মানসিক চাপ

দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি প্রধান কারণ। কেননা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ চুলের বৃদ্ধির চক্র কে ব্যাহত করে।

ছত্রাক আক্রমণ

মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হলে চুল পড়তে পারে।

বংশগত কারণ

বাবা-মায়ের বংশে চুল পড়ার পারিবারিক ইতিহাস থাকলে পরবর্তীতে আপনার চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটাকে অনেক সময় জেনেটিক সমস্যাও বলা হয়।

হরমোন জনিত সমস্যা

হরমনের পরিবর্তন পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ফলে মাথার তালুর চুল পড়ে গিয়ে টাক দেখা দিতে পারে। একে বলে মেল প্যাটার্ন ব্যল্ডিং। তাছাড়া থাইরয়েড, গর্ভাবস্থায় বা মেনোপজের সময় হরমোন পরিবর্তন চুল পড়া বাড়িয়ে দিতে পারে।

ভুল চুলের যত্ন

অতিরিক্ত কেমিক্যাল, গরম হেয়ার স্টাইলিং টুল এবং অতিরিক্ত মানহীন শ্যাম্পু ব্যবহার চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে চুল পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

চুল পড়ার লক্ষণ

নানা কারণে আপনার মাথার চুল পড়তে পারে। চুল পড়া সাধারণত কিছু অন্তর্নিহত রোগের উপসর্গ।অন্যান্য উপসর্গ চুল পড়ার সাথে সম্পর্কিত সেগুলো হলো-
  • পুরুষ অথবা মহিলা প্যাটার্ন টাক পড়া।
  • মাথার কিছু অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ চুল উঠে যাওয়া।
  • বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু কিছু চুল আসমান ভাবে উঠে যাওয়া।
  • সমগ্র দেহে থেকে চুল পড়ে যাওয়া।
  • মাথার ত্বক শুকনো এবং আখের মত হয়ে যাওয়া।
  • মাথা অতিরিক্ত চুলকালে।
  • চুল শুকিয়ে যাওয়া এবং ডগা ফেটে যাওয়া।

চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন

অ্যালোভেরা চুলের গোড়া শক্ত করে, মাথার স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করে এবং মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত ২ - ৩ বার তাজা অ্যালোভেরা জেল স্ক্যাল্পে মেসেজ করুন। কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

নারকেল তেলের মেসেজ

নারকেল তেল চুলের প্রোটিন ধরে রাখে এবং চুলের ভাঙ্গন কমায়। হালকা নারকেল তেল স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাতে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া বন্ধ করার অন্যতম ঘরোয়া উপায়।

পেঁয়াজের রস

পিঁয়াজের রসে সালফার থাকে যা চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুল পড়া রোধ করে। পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো ফলাফল পাবেন।

মেথি বীজের পেস্ট

মেথিতে প্রাকৃতিক প্রোটিন এবং নিকোটিনিক এসিড থাকে যা চুল পড়া কমাতে সহায়ক। ভিজিয়ে রাখা মেথি বীজ ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। এটি চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলোর একটি।

ডিমের হেয়ার মাস্ক

ডিম প্রোটিন এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ, যা চুলকে মজবুত করে। ডিম এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। আর এই চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়টির হাতেনাতে ফলাফল দেখুন।

গ্রীন টি রিন্স

গ্রীন টি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা গ্রিন টি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং আপনার চুল গুলো ঘন - কালো মেঘের মতো হয়ে গেছে।
আপনি উপরের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চললে এবং নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে আপনার চুল পড়া খুব সহজেই রোধ হবে।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। ছবি - এআই

চুল পড়া রোধে খাদ্যাভাস পরিবর্তন

আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় নিচের খাবার গুলো রাখুন -
  1. প্রোটিন সমৃদ্ধ মুরগির মাংস, মাছ ও ডিম।
  2. ভিটামিন যুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল।
  3. বাদাম, আখরোট ও চীয়া সীড।
  4. এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

চুল পড়ার চিকিৎসা

সাধারণত নানা কারণে মাথার চুল উঠতে পারে। এর জন্য পুঙ্খানুপু চিকিৎসার ইতিহাস সমগ্র ও পরীক্ষার মাধ্যমে চুল পড়ার সমস্যা নির্ণয় করা হয়। তবে কিছু তদন্ত পদ্ধতির সাহায্যে চুল পড়ার কারণ এবং সমস্যাটির নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণের সব থেকে উপযুক্ত চিকিৎসা জানা যেতে পারে। নিম্নে পদ্ধতি গুলো তুলে ধরা হলো-
  • রক্তে ভিটামিন ও খনিজের অভাব আছে কিনা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা।
  • পুল টেস্ট এবং লাইন মাইক্রোস্কোপিক মৃদু টানের মাধ্যমে চুলের স্থিতিস্থাপকতার ও গোড়ার জোর বুঝতে পারা যায়। লাইট মাইক্রোস্কোপিকের সাহায্যে চুলের ঘনত্ব এবং লোম কূপের গঠন পরীক্ষা করা হয়।
  • সংক্রমণ জাতীয় কারণগুলি চিহ্নিত করা যায়।
চুল পড়ার চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে সমস্যাটির কারণের ওপর নির্ভরশীল। কিছু ক্ষেত্রে এর নিরাময় সম্ভব হয় না কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। চুল পড়ার বিভিন্ন পদ্ধতিগুলো নিম্ন রূপ-
  • ওষুধ জিংক সেলনিয়াম ভিটামিন ই প্রভৃতি মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট, মিনোক্রিডিল, হরমোন প্রতিস্থাপন ওষুধ ইত্যাদি।
  • লেজার থেরাপি মাথার ত্বকে লেজার রশ্মির প্রয়োগ চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
  • ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি-মাথার ত্বক থেকে ঘন চুল যুক্ত সামান্য অংশ নিয়ে চুল পড়ে যাওয়া অঞ্চলে প্রতিস্থাপন করা।

চুল পড়া কাকে বলে

চুল পড়া একটি অত্যন্ত অপ্রীতিকর সমস্যা যেখানে মাথা থেকে ক্রমশ চুল পড়ে যেতে পারে। দৈনিক ১০০টি পর্যন্ত চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা এই চুলগুলির পরিবর্তে নতুন চুল গজায় কিন্তু যখন চুল তখন সমস্যা দেখা দেয় পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যাটাই দেখতে পাওয়া যায় অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ার ফলে মাথায় টাক পড়ে যায়।

যেভাবে চুলের যত্ন করবেন

নিয়মিত সপ্তাহে ২-৩ দিন চুলে তেল লাগিয়ে স্কাল্পে ভালোভাবে মেসেজ করুন। যেমন-নারিকেল তেল, বাদামের তেল, সরিষার তেল, অলিভ অয়েল, তিলের তেল, ভিটামিন ই, ক্যাস্টোর অয়েল। এই তেল একসাথে মিশিয়ে মেসেজ করলে খুব দ্রুত চুল লম্বা হবে এবং চুল পড়া ১০ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিদিন ৫-৬ বার চুল আঁচড়াবেন। যত বেশি স্কাল্পে চিরুনি পড়বে তত বেশি চুলের ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।

চুলের জন্য কোন মেডিসিন খাবেন না। চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক খাবার ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে যত্নের মাধ্যমে চুল নতুন করে গজানোর। ভালো ব্র্যান্ডের তেল এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। নিয়মিত পানি পান করুন। দুশ্চিন্তা পরিহার করুন। ভেজা চুল বাঁধবেন না, চুল শুকানোর জন্য ফ্যানের নিচে থাকুন। নিয়মিত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, ভেজিটেবল, তেল ইত্যাদি খাবেন। এতে চুল সুন্দর থাকবে।

চুলের বীজ কোষ বৃদ্ধির চক্র

চুল গজানোর জীব বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। আমাদের চুলের প্রধানত দুটি অংশ থাকে ফলিকল বা বিস্কুস এবং সাফট বা দন্ড।
চুলের ফলিকল বা বিস্কুস হল টিউবের মতো লোমকূপ যা চুলের গোড়াকে ঘিরে থাকে। আমাদের মাথায় যে ১ লাখ চুলের বিসকোশ আছে এগুলোর সবকটি একসাথে জন্মায় না। চুলের জন্ম বড় হওয়া এবং পড়ে যাওয়া ইত্যাদি কাজ ধাপে ধাপে অর্থাৎ চক্রাকারে হয়ে থাকে যেটিকে হেয়ার গ্রোথ সাইকেল বা চুল বৃদ্ধির চক্র বলে।

সব চুল একসাথে পড়ে না আবার সব একসাথে গজায়ও না। তা না হলে আমরা সবাই টাক হয়ে যেতাম। প্রত্যেক বীজ কোষ বারবার এই একই বৃদ্ধি চক্রের মধ্য দিয়ে যায়। যার তিনটি স্বতন্ত্র পর্যায়ে রয়েছে-অ্যানাজেন,ক্যাটাজেন, এবং টোলোজেন।
অ্যানাজের সময়কে বলা হয় চুলের বাড়ন্ত কাল যা ২ থেকে ৭ বছর ধরে চলে। এই শুরু হওয়া এই ধাপে বীজ কোষের প্রতিটি চুল প্রতি মাসে প্রায় ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়ে।

এরপরে শুরু হয় ক্যাটাজেন অ্যানাজন থেকে এভাবে যেতে ২ সপ্তাহের মতো সময় লাগে। এ সময় চুলের গোড়ায় রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণে পুষ্টিপ্রাপ্তি বন্ধ হয়ে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় চুল তার গোড়া থেকে চামড়ার কাছাকাছি অর্থাৎ উপরের দিকে চলে আসে। তখন একে ক্লাব হিয়ার বলে।
টোলোজেন ধাপে এসে ক্লাব হেয়ার গুলো বিশ্রাম বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে এবং এক সময় পড়ে যায়। খালি হওয়া বীজ কোষে নতুন চুলের জন্ম হয় তবে যা সর্বোচ্চ ৪ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপে পড়লে ২ থেকে ৩ মাসের মাথায় রয়ে যেতে পারে। ফলে যে স্থানে আর চুল গজায় না বলে মাথায় চুল কমতে থাকে যা প্রলোজেন এপলুভিয়াম নামে পরিচিত।

চুলের যত্নে কিছু করণীয় এবং বর্জনীয়

করণীয়:
  • সপ্তাহে অন্তত দুইবার তেল মেসেজ করুন।
  • সিল্ক বা কটন বালিশের কভার ব্যবহার করুন।
  • নরম ব্রাশ বা চিরুনি ব্যবহার করুন।
বর্জনীয়:
  • অতিরিক্ত হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনার ব্যবহার বর্জন করুন।
  • প্রতিদিন চুল ধোয়া যাবেনা।
  • ভেজা চুলে আঁচড়ানো যাবে না।

FAQ: কিছু প্রশ্ন উত্তর - চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

১। প্রশ্ন: চুল পড়া শুরু হলে প্রথমে কি করা উচিত?
উত্তর: চুল পড়া শুরু হলে প্রথমে চুলের যত্নের রুটিন পরিবর্তন করুন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারকে দেখান।

২। প্রশ্ন: চুল পড়া বন্ধ করতে কোন খাবার উপকারী?
উত্তর: চুল পড়া বন্ধ করতে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, আয়রন এবং ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ডিম, বাদাম, সবুজ শাকসবজি এবং মসুরের ডাল চুলের জন্য উপকারী।

৩। প্রশ্ন: নারকেল তেল কি চুল পড়া রোধে সাহায্য করে?
উত্তর: হ্যাঁ, নারকেল তেলে ভিটামিন ই এবং প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।

৪। প্রশ্ন: গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া কি চুল পড়ার কারণ?
উত্তর: হ্যাঁ, গরম পানি মাথার ত্বক শুকিয়ে দেয়, ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে যেতে পারে। তাই হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।

৫। প্রশ্ন: মানসিক চাপ কি চুল পড়ার কারণ হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, অতিরিক্ত মানসিক চাপ চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং চুল পড়া বাড়িয়ে দিতে পারে।

৬। প্রশ্ন:? কতদিনে চুল পড়া কমে আসতে পারে?
উত্তর: চুল পড়ার কারণ ও চিকিৎসার ওপর নির্ভর করে সাধারণত ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে উন্নতি দেখা যেতে পারে।

উপসংহার - চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আমাদের নিয়মিত চুল পড়া স্বাভাবিক। মানুষের সাধারণত দৈনিক ১০০টি চুল পড়ে। অতিরিক্ত চুল পড়লে চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব যদি আপনি সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেন। প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় চুলের যত্ন নিলে শুধু চুল পড়ায় বন্ধ হবে না বরং নতুন চুল গজাবে এবং চুলের সৌন্দর্য দীর্ঘদিন ধরে রাখা সম্ভব হবে। এর পরেও চুল পড়া বন্ধ না হলে এর পেছনে কোন অন্তর্নিহত কারণ রয়েছে, যা আপনি ধরতে পারছেন না। এমতাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত আপনার। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন এবং যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আমাদের সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। আজকের লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পরে যেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url