অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা, ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন।আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আপনি কি অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয়, অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা, অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম এবং অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জানতে চান?
![]() |
| অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা |
অর্জুন হচ্ছে একটি সাপুষ্পক উদ্ভিদ যার ইংরেজি নাম Arjun. অর্জুন গাছের আদি নিবাস হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা। তবে বর্তমানে এই গাছটি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং কেনিয়াতে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল, পাতা ও ফল ভেষজ ওষুধ তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি হৃদরোগের মহা ঔষধ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু এর আরো অন্যান্য উপকারিতা, গুনাগুন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা, অপকারিতা ও সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম।
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেন কি? জেনে নিন এর ঔষধি গুণাগুণ, উপকারিতা, ব্যবহার, ক্ষতিকর দিক ও খাওয়ার সঠিক নিয়ম। মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান অর্জুন গাছ। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এটি হৃদরোগ এবং যৌন চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রকৃতিতে এ পর্যন্ত যতগুলো ঔষধি গাছ পাওয়া গেছে তার মধ্যে অর্জুন অন্যতম।
আরো পড়ুন: বাসক পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
ভেষজ শাস্ত্রে অর্জুন গাছের ঔষধি গুনাগুন এতই বিস্তৃত যে, বাড়িতে একটি অর্জুন গাছ থাকাকে একজন ডাক্তারের সাথে তুলনা করা হয়েছে। দিন দিন অর্জুন গাছের উপকারী গুণ নতুন নতুন ভাবে আবিষ্কৃত হয়েই চলেছে। তাহলে চলুন অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার প্রধান উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক।
অর্জুন গাছ হৃদরোগের সমস্যা দূর করে
বর্তমানে মানুষের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও অনিমিত খাদ্যাভাস অনেক জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল জটিল রোগের মধ্যে হৃদরোগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি যেন বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে এবং একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রকম হৃদরোগের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করছেন। এর সমাধান হিসেবে অনেকেই এলোপ্যাথিক ওষুধের ওপর নির্ভর করে থাকেন। কিন্তু এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই সাইড ইফেক্ট ব্যতীত প্রাকৃতিক চিকিৎসার কথা বিবেচনা করছেন। আর এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে প্রাকৃতিক উপাদান অর্জুন গাছের ছাল বা বাকল। অলৌকিকভাবে আপনার হার্টের ব্লক থেকে শুরু করে যে কোন সমস্যা দূর করবে অর্জুন গাছের ছাল। এটি ভিজিয়ে খেলে বা পাউডার নিয়ম করে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খারাপ কোলেস্টেরল দূর এবং হার্ট ব্লকের মত জটিল সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
![]() |
| অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম |
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল হার্ট সংক্রান্ত সকল সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে পারে। অর্জুন গাছের ছালের রসে কো-এনজাইম কিউ-১০ বিদ্যমান রয়েছে যা হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এটি খেলে শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গের সুষ্ঠুভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়। এর ফলে প্রতিটি অঙ্গে অক্সিজেনের সারবরাহ ভালো রেখে আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া এটি গ্রহণ করলে ক্ষয়প্রাপ্ত হার্টের টিস্যুগুলো পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করে এবং কার্ডিয়াক মাসল শক্তিশালী করে। সুতরাং অর্জুন গাছ হৃৎপিন্ডের পেশি সুস্থ রেখে আপনার হার্ট কে করে তুলবে শক্তিশালী এবং মজবুত। (তথ্যসূত্র: আয়ুর্বেদাচার্য ডাক্তার বিভা ভার্মা, ইউএইচএম জেলা হাসপাতাল, ইন্ডিয়া)
কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অর্জুন ছাল
অর্জুন গাছের ছাল বা বাকল লিপিড ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর কমানোর মাধ্যমে কোলেস্টেরল হ্রাস করে। এর বাকল বা ছাল খারাপ কোলেস্টরেলের জন্য একটি যাদুকরি ওষুধ। এটি রক্তের ধমনীতে জমে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে। এর ফলে হার্টের ব্লকেজ থাকলে তা খুলতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কেউ উচ্চ রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টরেলের সমস্যায় থাকলে অর্জুন গাছের ছালের ১ চামচ পাউডার ২ গ্লাস পানিতে অর্ধেক রয়ে যাওয়া পর্যন্ত গরম করে সকালে এবং সন্ধ্যায় পান করা উচিত। এভাবে ব্লকেজ ধমনী গুলো খুলে যাবে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পাবে।
বুক ধড়ফড় প্রতিরোধে অর্জুনের ছাল
আপনার যদি প্রায় বুক ধড়ফড় করে অথচ উচ্চ রক্তচাপ নেই তাহলে এর সমাধান হিসেবে আপনি অর্জুনের ছাল বেছে নিতে পারেন। এজন্য আপনাকে অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল কাঁচা হলে ১০ থেকে ১২ গ্রাম, অথবা অর্জুনের ছাল শুকনা হলে ৫ থেকে ৬ গ্রাম একটু ছেঁচে ২৫০ মিলি দুধের সাথে ৫০০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে জাল দিয়ে প্রায় ১২৫ মিলি থাকতে ভালোভাবে ছেঁকে বিকেল বেলা খেলে বুক ধড়ফড়ানি সহজেই কমে যাবে। আপনার যদি লো ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলে উক্ত নিয়মে অর্জুনের ছাল খেলেও আপনার প্রেসার বাড়বে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার পেটে যেন গ্যাস এসিডিটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অর্জুন ছাল যৌন রোগ সারাবে
যাদের মধ্যে যৌন অনীহা রয়েছে তাদের জন্য অত্যন্ত জাদু করি প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী সমাধান হতে পারে অর্জুনের ছাল। এই গাছের ছালে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান 'স্যাপোনিন' যা যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। বিশেষ করে বয়স্ক লোকদের এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। আর এজন্য অনেকেই দুশ্চিন্তা করে ভেঙ্গে পড়েন। কিন্তু কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব না করে আপনি অর্জুনের ছাল খেতে পারেন যার উপকারিতা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। যুগ যুগ ধরে এটা একটি প্রমাণিত সমাধান। আমি নিজেই এর ফলাফল দেখেছি। রাতে কয়েক টুকরা অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল একটি কাঁচের গ্লাসে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন।
![]() |
| অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা |
পরের দিন সকালে তা ভালোভাবে ছেঁকে আঠালো যুক্ত সম্পূর্ণ পানি খেয়ে ফেলুন। এরপর দেখুন এর জাদুকরি ফলাফল। এভাবে আপনি প্রতিদিন সকালে ৭ দিন খেয়ে দেখুন আর ফলাফল হাতেনাতে উপভোগ করুন। কেউ কেউ এর ছাল চূর্ণ করে খাঁটি দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম করে খেলে যৌন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কাশি উপশমে অর্জুন ছাল
আজকাল সকলেরই একটি কমন সমস্যা হলো সর্দি কাশি। এমন কোন মানুষ নেই যে তার যখন তখন ঠান্ডা কাশি নেই। এটি যেন এখন একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন: সর্দি-কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
কোন চিন্তা না করে এর জন্য আপনি প্রাকৃতিক সমাধান অর্জন গাছের ঝাল বেছে নিতে পারেন। প্রথমে শুকনো অর্জুন গাছের বাকল বা ছালের পাউডার, তাজা সবুজ ছোট পাতার রসের সাথে মিশিয়ে আবার শুকিয়ে নিন। এরপর এগুলো ভালোভাবে চূর্ণ করে প্রস্তুত করে নিন। তারপর এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে রোগীকে সেবন করালে তিনি কাশি থেকে মুক্তি পাবেন। এভাবে অর্জুনের ছাল আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। এছাড়াও বিভিন্ন রকম শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ প্রতিরোধেও এর ভেজানো পানি খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়ে থাকে। তাছাড়া হাঁপানি রোগে অর্জুন গাছের ফল টুকরো করে তা তামাকের মতো করে ধোঁয়া টানলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
অর্জুন ছাল ত্বকের যত্নে
আপনি যদি ব্রণ, কালো দাগ ছোপ ইত্যাদি ত্বকের সমস্যায় বুকে থাকেন তাহলে তাহলে এর সহজ সমাধান হতে পারে অর্জুন গাছের ছাল যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য আপনাকে অর্জুন গাছের ছাল বাদাম, হলুদ এবং কর্পূর সমান পরিমাণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর আক্রান্ত ত্বকের ওপর ভালোভাবে প্রয়োগ করুন। এতে আপনার মুখের সমস্ত কালো দাগ, বলি রেখা দূর হবে এবং মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। দেখা গেছে, মেছতা দাগের ওপর অর্জুন ছালের পাউডার এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে লাগালে মেছতার দাগ দূর হয়ে যায়।
চুলের যত্নে অর্জুন ছাল
দেখা গেছে, উন্নত চুলের জন্য অর্জুন গাছের ছাল বিশেষভাবে উপকারী। এজন্য প্রয়োজন গাছের ছাল এবং হেনার মিশ্রণ মাথার চুলের মধ্যে প্রয়োগের ফলে সাদা চুল কালো হয়। কেননা অর্জুন ছালের বিদ্যমান কিছু প্রাকৃতিক উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে করে তোলে ঝলমলে ও শক্তিশালী। সুতরাং আপনি আপনার চুলের যত্নে অর্জনের ছাল ব্যবহার করতে পারেন।
অর্জুন ছালের অন্যান্য উপকারিতা
অর্জন গাছের ছালের উপকারিতা অপরিসীম। অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল লিভারের সমস্যা দূর করে, ক্ষয় রোগ দূর করে, হার্নিয়াতে অর্জন ফল কোমরে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়, কাঁচা পাতার রস সেবনে আমাশয়ের রোগ ভালো হয়, এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে, চর্ম ও যৌন রোগ দূর করে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, রক্ত ক্ষরণে রোধ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুন: ফ্যাটি লিভার দূর করার ঘরোয়া উপায়
অর্জুন গাছের গুণাগুণ
অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল, ফল ও পাতা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে আহরিত ট্যানিন ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়। এই ট্যানিন আমাদের মুখ, জিহবা এবং দাঁতের মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসাতেও কাজে লাগে। এটি সহজেই মাঢ়ির রক্তপাত বন্ধ করতে সক্ষম। শরীরে খোঁস- পাঁচড়া ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষত দেখা দিলে অর্জুন গাছের ছাল বেটে লাগালে তা সহজে সেরে যায়। তাছাড়া এর ছাল আমাশয়, হৃদরোগ, যৌন রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। (তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া)
অর্জুন গাছের ছালের ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা
অর্জুন গাছের ছালের ব্যাপক উপকারিতা গুণ থাকলেও এর কিছু ক্ষতিকর বা অপকারিতা রয়েছে। চলুন তাহলে অর্জুন ছালের অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- অর্জুন গাছের ছাল গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই ছাল তাদের জন্য সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
- অতিরিক্ত এই গাছের ছাল গ্যাস এসিডিটি বৃদ্ধি, পেটব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
FAQ: প্রশ্নোত্তর - অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
১। প্রশ্ন: অর্জুন গাছের কোন অংশ রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল, পাতা এবং ফল রোগ নিরাময় ব্যবহৃত হয়।
২। প্রশ্ন: অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা কি?
উত্তর: অর্জুন গাছের ঝালের উপকারিতা হল হৃদরোগের চিকিৎসা, যৌন রোগের চিকিৎসা, ত্বকের যত্নে, চুলের যত্নে, আমাশয় রোগ প্রতিরোধে, হজম শক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি
৩। প্রশ্ন: অর্জুন ছাল কার খাওয়া উচিত নয়?
উত্তর: অর্জুন ছাল গর্ভবতী নারী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের খাওয়া উচিত নয়।
সর্বশেষ কথা -অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
অর্জুন গাছ মানুষের জন্য একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। এর উপকারিতা ও গুণাগুণ এতই ব্যাপক যে তা বলে শেষ করা যাবে না। এটি হৃদরোগ ও যৌন রোগ সহ বিভিন্ন জটিল রোগের সমাধান দিতে সক্ষম। এই গাছের ব্যাপক চাষ করা ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলের উচিত। প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা অর্জন গাছের ছালের উপকারিতা, ক্ষতিকর দিক এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা ভালোভাবে লেখাটি পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। এরপরেও আপনাদের যদি কোন কিছু এ বিষয়ে জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা যতদূর সম্ভব অতি দ্রুত আপনার সাথে যোগাযোগ করব। লেখাটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ রইল যেন অন্যরাও উপকৃত হতে পারেন। আজকের লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
লেখক পরিচিতি:
মোহাঃ গোলাম কবির
বি.এস-সি (অনার্স), এম.এস-সি
পরিসংখ্যান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
(বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত নিয়মিত ব্লগ লেখক)





এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url