টমেটো খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জেনে নিন

কালিজিরা খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতাআসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আপনাদের জানাবো টমেটো খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন না টমেটো খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। সেজন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক টমেটো খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। ছবি - এআই
টমেটো ছাড়া রান্নাঘর অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। সবজি হিসেবে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো টমেটো খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। টমেটোতে বিদ্যমান ও গুণাবলীর কারণে এটিকে সুপার ফুড হিসেবে গণ্য করা হয়। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক টমেটো খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা,  অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা,  অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জানেন কি? জানুন এর বিভিন্ন গুণাগুণ ও ক্ষতিকর দিকসহ এ টু জেড। এটি লাইকোপিন, বিটা ক্যারোটিন ফলের পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর সমৃদ্ধ উৎস। এসব গুণের কারণে টমেটো কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ প্রতিরোধে সহায়ক। কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও উপকারী এই টমেটো। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো টমেটোর উপকারিতা, অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফলিক এসিড, লাইকোপিন, ক্রোমিয়াম ও আরো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমূহ। টমেটো আমাদের দেশে একটি প্রধান শীতকালীন সবজি। তবে গ্রীষ্মকালেও টমেটো সাফল্যের সাথে চাষ করা যায় এবং পাওয়া যায়। সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ চাহিদা সারাদেশে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের জন্য এটি একটি বিশেষ অর্থকরী সবজি হিসেবে চলে আসছে।

সবজি হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও এর ব্যবহার সুপরিচি।ত দেশের বাজারে চাহিদা টমেটো রপ্তানির প্রচুর অর্থ উপার্জন করে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। রান্নার উপকরণ হিসেবে এবং খাবারের সাথে টমেটো সস বেশ পরিচিত হয়ে আসছে।

টমেটো খাওয়ার উপকারিতাঃ

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা অনেক আমাদের শরীরের জন্য। টমেটো কোন গুরুতর রোগের নিরাময় নয় এটি শুধুমাত্র কিছু পরিমাণে তাদের উপসর্গ কমাতে পারে। চলুন এবার জেনে নেই টমেটো খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা। ছবি - এআই

মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণেঃ

ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়। তবে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে। তবে আপনার সে বিষয়টা ভালো হয়ে যাবে এবং আপনি অনেক উপকার পাবেন।

সর্দি কাশি প্রতিরোধেঃ

সর্দি কাশি প্রতিরোধেও টমেটো বেশ কার্যকর আপনি কি সর্দি কাশিতে ভুগছেন। তবে দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে সুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এর ফলে সর্দি কাশিতে আপনি উপকার পাবেন।

এজমা নিয়ন্ত্রণেঃ

টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকুপেন এবং ভিটামিন এ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রাখতে তাই নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন। এভাবে এজমা নিয়ন্ত্রণে টমেটো সহায়তা করে।

জ্বর নিরাময়েঃ

তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। সামান্য জ্বর হলে টমেটো খেলে আরাম পেতে পারেন আপনি।

হেপাটাইটিসের নিরাময়েঃ

টমেটোর জুড়ি নেই টমেটো স্যালারী গাজর এবং চাল এ ছাড়া পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে একটি ডিশ তৈরি করে নিতে পারেন।  এটি সেপাটাইটিসের নিরাময়ের খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যেকোনো রোগের জন্য অনেক কঠিন একটা সমস্যা তাই এখন থেকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খাবেন সাথে কিছু চিনি ও মিশিয়ে নিতে পারেন এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।

ক্ষত রোগ নিরাময়েঃ

আমাদের অনেকের মুখ গহবরের মাঝে মাঝে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। আমি মনে করি এখন থেকে আর চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। টমেটোর রস আপনার সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় একবার করে টমেটো রস খান দেখবেন দুই - একের মধ্যে মুখের ক্ষত দূর হয়ে যাবে।

মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতেঃ

ঠাটকা টমেটো কেটে টুকরো টুকরো করার পর সেগুলো থেকে রস করে নিন। তারপর এই রসের সাথে খানিক চিনি মেশান। এই চিনি মিশ্রিত রস প্রতিদিন মুখে মাক্স হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।, এত মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল হবে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখ বয়সের ছাপ পড়ে। এই টমেটো রস দেওয়ার ফলে সেই ছোপ লুকিয়ে যেতেও টমেটো সাহায্য করবে। এতে মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল হবে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখ যে বয়সের ছাপ পড়ে এ টমেটো দেওয়ার ফলে সেই ছাপ লুকিয়ে যেতেও টমেটো সাহায্য করবে।

রক্তস্বল্পতা দূরীকরণেঃ

যারা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন তাদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী একটি সবজি বা ফল। একটি আপেল টমেটো এবং একটি ১৫ গ্রাম তিল একসাথে খাবেন। প্রতিদিন এক বা দুইবার খেতে পারেন। এতে রক্তের স্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে।

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যঃ

টমেটো ত্বকের জন্য ভালো বিবেচিত হতে পারে। এতে পাওয়া লাইকোপেন ত্বককে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে সুরক্ষা প্রদানের পাশাপাশি রোদে পোড়া সমস্যায় সহায়ক হতে পারে। শুধু তাই নয় লাইকোপেন সমৃদ্ধ টমেটো একটি দুর্দান্ত ক্লিনিজার হিসেবেও কাজ করতে পারে যা ত্বকের ময়লাকে এক্সপ্লোইড করতে সাহায্য করতে পারে।

চর্মরোগ নিরাময়েঃ

চর্ম রোগের জন্য টমেটো অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। আপনার ত্বকে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তবে টমেটোর ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করি উপকার পাবেন। চর্ম রোগ নিরাময়ে টমেটোর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। একটি টাটকা টমেটো নিয়ে তার রস করে তারপর সে রস ত্বকের যে স্থানটি রোগাক্রান্ত সেখানে মাখিয়ে রাখুন। এভাবে দিনে দুই - তিনবার মাখিয়ে রাখলে দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মস্তিষ্কের জন্যঃ

টমেটো খাওয়া মস্তিষ্কের জন্য উপকারী হতে পারে। গবেষণা অনুসারে টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন এলজাইমার্স এর মত গুরুতর রোগ প্রতিরোধ সহায়ক হতে পারে টমেটো। একই সময়ে টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন সি নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একই সময়ে টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ভিটামিন সি এর পরিমাণ কম হলে এটি একজন ব্যক্তির মেজাজের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারী থাকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ভিত্তিতে বলা যায় টমেটোর ঔষুধি গুন মস্তিষ্কের জন্য ভালো প্রমাণিত হতে পারে।

চুলের জন্যঃ

লাল টমেটো চুলের ভাল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। টমেটো ফ্লাবন ওয়েট সমৃদ্ধ যা চুল পড়া রোধে সহায়ক হতে পারে। একই সময়ে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা চুলকে চকচকে ও মজবুত রাখতে কার্যকারী।

লিভারের জন্যঃ

গবেষণা অনুসারে টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন অ্যালকোহল যুক্ত লিভারের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। একই সময়ে অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে টমেটো খাওয়ার মাধ্যমে লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি হাস করা যেতে পারে। টমেটো এবং টমেটোর রসের উপকারিতা ও লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে।

পেশি তৈরিতে সহায়কঃ

টমেটো এবং টমেটো পণ্য পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি সবজি। একই সাথে আমরা আপনাকে বলে রাখি যে পটাশিয়াম শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ গুলির মধ্যে একটি। একটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা বেশি গঠনের সাহায্য করতে পারে। যদিও টমেটোর রস নিজেই টমেটো থেকে তৈরি করা হয়। টমেটোর রস পান করার উপকারিতা গুলো পেশি তৈরিতেও সহায়তা হতে পারে।

রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়ঃ

টমেটো রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ সহায়ক হতে পারে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন কোলেস্টেরলের কমানোর পাশাপাশি রক্তের জমাট বাধা প্রতিরোধ সহায়ক হতে পারে। এর ভিত্তিতে এটি বিশ্বাস করা যেতে পারে যে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা রক্তের জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে পারে।

হজমের সমস্যাঃ

হজমের সমস্যায় টমেটো খেলে উপকার পাওয়া যায়। টমেটোতে লাইকোপিন পাওয়া যায় যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য সহায়ক হতে পারে। অন্য একটি গবেষণা অনুসারে টমেটোকে ক্লোরাইডের একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা পাকস্থলের একটি অপরিহার্য অঙ্গ যা শরীর তরলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন। এ ভিত্তিতে এটা অনুমান করা যেতে পারে যে টমেটো হজমের জন্য ভালো।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

টমেটো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। টমেটোর ওপর একটি গবেষণা অনুসারে টমেটোতে উপস্থিত ক্যারোটিন এর একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এইভাবে উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও টমেটোর বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায়ঃ

টমেটোর ঔষধি গুণের কারণে গর্ভাবস্থায় ও এর ব্যবহার অনেক। প্রকৃতপক্ষে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ফলের থাকে যা অনাগত ভ্রুণকে নিউরাল টিউবের ত্রুটি অর্থাৎ মেরুদন্ড এবং মস্তিষ্ক সম্পর্কিত রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে টমেটো। এই ভিত্তিতে এটি বলা যেতে পারে যে টমেটোর বৈশিষ্ট্য গুলি গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রচুর পরিমাণে উপকার করতে পারে।

হৃদরোগের  ঝুকি কমেঃ

বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিশ্চিত করছে যে টমেটো হতে কাভি ও প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এটি লাইকোপিন ফলের পটাশিয়াম, ভিটামিন সি প্লাবনয়েড এবং ভিটামিন এর সমৃদ্ধ উৎস। এসব গুণের কারণে টমেটো কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ প্রতিরোধে সহায়ক। কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকলে হৃদরোগের ঝুকি কমে।

বিরোধী প্রদাহজনকঃ

পদাহ জনিত সমস্যায় টমেটো ব্যবহার করা যেতে পারে টমেটোতে লাইকোপেন, বিটাকারোটিন ভিটামিন সি এর মত অনেক জৈব সংক্রীয় যোগ রয়েছে বলে জানা যায় যা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পারে। প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে টমেটোরউপকারিতা অনেক।

রক্তচাপের জন্যঃ

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও টমেটো খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আমরা আপনাকে বলি যে টমেটো নির্যাস এর লাইকোপিন বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এর মত অনেক ক্যারোটিন ওয়েট রয়েছে। এসব একটি কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে জাবিনামলে চটিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও লাল টমেটো ভিতরে পাওয়া যায় এ সমস্ত পুষ্টি রক্তচাপ কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।

ব্যথা উপশমকারীঃ

টমেটোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কথা বললে এটি ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে টমেটো ফেলাবনয়েড সমৃদ্ধ যা ব্যাথা নাশক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পরিচিত। এই কারণেই ব্যথাজনিত সমস্যার জন্য টমেটো ব্যবহার করা উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে।

ক্যান্সারের জন্যঃ

লাল টমেটোতে লাইকোপিন পাওয়া যায় যা ক্যারোটিন এড। এর যোগ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ওমোপ্রবন টিভ প্রভাব বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পারে। এছাড়াও লাইফ ওপেন এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ক্যাসিনোজিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্যান্সারকে বাড়তে বাধা দিতে সাহায্য করতে পারে। এর ভিত্তিতে ধারণা করা যায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দেখা যাই।

ডায়াবেটিসের জন্যঃ

ডায়াবেটিসের সমস্যায় ও টমেটোর উপকারিতা দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে নরেনগিন টমেটোর বিদ্যামান যুক্তি হলো এন্টিডেবিটিক প্রভাব দেখা দিতে পারে যার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সহায়ক হতে পারে। এছাড়াও টমেটোর রস লাইকোপিন বিটা ক্যারোটিন পটাশিয়াম ভিটামিন সি ফ্লাউয়েন ফুলের রয়েছে এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকের অগ্রগতি রোধ করতে পারে। এর ভিত্তিতে বলা যায় যে ডায়াবেটিসের খাবারে টমেটো রস পানির উপকারিতা অনেক।

চোখের রোগে উপকারীঃ

টমেটো খেলে চোখের রোগ এড়ানো যায় এর জন্য টমেটোতে পাওয়া ভিটামিন সি উপকারে প্রমাণিত হতে পারে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ভিটামিন সি চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।এছাড়া এটি চোখকে রোগমুক্ত রাখতে ও সহায়তা করে ।এমন পরিস্থিতিতে চোখ সুস্থ রাখতে টমেটো খাওয়া উপকারী বলে বিশ্বাস করা যায়।

ওজন কমানোর জন্যঃ

এনসিবিআই এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে টমেটোর রস খাওয়া শরীরের ওজন এবং চর্বি কমাতে সহায়তা করে। অন্যদিকে টমেটো ফাইবারের একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়, একই সময়ে ফাইবার ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেক অংশ সহায়ক হতে পারে এমন পরিস্থিতিতে ওজন কমাতে টমেটোর রস পানির উপকারিতা দেখা যায় বললে ভুল হবে না।

দাঁত এবং হাড়ের জন্যঃ

দাঁত ও হার সুস্ত রাখতে টমেটো উপকারী প্রমাণিত হতে পারে ন্যাশনাল সেন্টার অফ বায়োটেকনোলজি ইনফর্মেশন এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইক ওপেন রয়েছে যাহারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
এছাড়া টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে ব্যাখ্যা করুন যে শরীরে ৯৯% এর বেশি ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতে জমা হয় যা তাদের শক্তিশালী রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এমন পরিস্থিতিতে এটা বিশ্বাস করা যেতে পারে যে টমেটো খাওয়া দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি সবজি।

টমেটো খাওয়ার অপকারিতাঃ

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা জানার পর পাশাপাশি টমেটোর অপকারিতা সম্পর্কেও সচেতন হওয়া জরুরী, কারণ এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে তাই আমরা এখানে টমেটোর অপকারিতা গুলো বলছি যা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
যদিও টমেটো এলার্জির বিরল তবে তাদের পরাগ একটি শ্বাস-প্রশ্বাসের এলার্জির কারণ হতে পারে, যাকে ওরাল এলার্জি সিনড্রোম বলা হয়। এ ছাড়া কেউ হৃদরোগের ওষুধ সেবন করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই টমেটো খাওয়া উচিত। আসলে টমেটো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হলে পরিচিত এটি পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারে যা কার্ডেওভাস্কুলার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
শুধু তাই নয় কেউ যদি কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে টমেটো খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গাছতই সোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ভিজিজের সমস্যায় টমেটো খাওয়া ব্যঞ্জনীয় নয়। টমেটোতে উপস্থিত এসিড এই সমস্যাটিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আছে। এমন পরিস্থিতিতে টমেটোর অপকারিতা এড়িয়ে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে তার সীমিত পরিমানে খান। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি একা বা অন্যান্য সবজির সাথে একত্রে রান্না করা যায় এছাড়া টমেটো স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তকো চুলের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এখন আপনি নির্দ্বি রায় আপনার ডায়েটে টমেটো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

টমেটোর পুষ্টিগুণঃ

টমেটোকে মৌসুমী ফল বা সবজি যেই যাই বলুক না কেন এর গুনাগুন নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। টমেটো পেকে লাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পুষ্টিগুণ আরো বৃদ্ধি পায়। এই টাটকা ফলের প্রধান অংশ পানি এর প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পানি থাকে ফলে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট তুলনামূলক কম থাকে ফলের পুষ্টিমান মূল্য তখন এর জন্য ফলকে দেহ রক্ষাকারী খাদ্য বলা হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে রয়েছে ৩৫১ মাইক্রগ্রাম কেরোটিন, ক্যারোটিন মানবদেহে ভিটামিনের কাজ করে অর্থাৎ দৃষ্টিশক্তি পক্ষ রাখে ও রেটিনা সুস্থ রাখে। পাকা টমেটোতে আছে ভিটামিন সি যা দাঁত ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা টমেটোতে ০.০৬ মিলিগ্রাম রিবোফ্লোবিন পাওয়া যায় এটি বিভিন্ন গ্রন্থী ও কলা ত্বক চোখ উষ্ণায়ু ইত্যাদি সুস্থতা রক্ষা করে। টমেটোতে সামান্য পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা টমেটোতে০.৪০ মিলিগ্রাম লৌহ থাকে।
পাকা টমেটোতে হাড় ও দাঁত গঠনকারী ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, সাধারণত প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা টমেটোতে ৪৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ফসফরাস দেহের কোষ কলার সুস্থতা রক্ষা করে। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ২০ মিলিগ্রাম ফসফরাস পাওয়া যায়। টমেটোতে আরো নানারকম পুষ্টি থাকে যেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
  1. জল
  2. শক্তি
  3. প্রোটিন
  4. চর্বি
  5. কার্বোহাইড্রেট
  6. চিনি
  7. ক্যালসিয়াম
  8. আয়রন
  9. ম্যাগনেসিয়াম
  10. ফসফরাস
  11. পটাশিয়াম
  12. সোডিয়াম
  13. দস্তা
  14. তামা
  15. ভিটামিন সি
  16. থায়ামিন
  17. রিবোফ্লাভিন
  18. নিয়াসিন
  19. ভিটামিন বি ৬
  20. ফোলেট
  21. ভিটামিন এ আর ই এ
  22. বিটা ক্যারোটিন
  23. ভিটামিন ই
  24. ভিটামিন কে
  25. ফ্যানটি অ্যাসিড মোটস্যাচুরেটেড
  26. ফ্যাট অ্যাসিড মনোসেচুরেটেড
  27. ফ্যাট অ্যাসিড মোট পলিয়ান সেচুরেটেড।

উপসংহারঃ টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, টমেটো খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন টমেটো খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। টমেটো খাওয়ার উপকারিতা যেমন আছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এই টমেটো নানা রোগের জন্য উপযোগী। আপনারা যারা টমেটো খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন না আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য এবং এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আর্টিকেলের ভিতর যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।

লেখক পরিচিতি:

মোহাঃ গোলাম কবির
বি.এস-সি (অনার্স), এম.এস-সি
পরিসংখ্যান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
(বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত নিয়মিত ব্লগ লেখক)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url