ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা (সম্পূর্ণ গাইড)
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। কিছুক্ষণ পর পর বৃষ্টি হলেও গরম কমেনি এখনও। বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানী সহ সারা দেশের তাপমাত্রা বেড়েছে এর সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাইরাস জ্বর সহ আরো অন্যান্য রোগ। হাজার হাজার মানুষ গরম জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভিড় করছেন। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক ভায়েরা জ্বরের লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার।
![]() |
| ভাইরাস-জ্বর-কারণ-উপসর্গ-প্রতিরোধ-চিকিৎসা। |
আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন ও তীব্র গরমের কারণে ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। এ ধরনের জ্বর থেকে সুরক্ষিত থাকতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে যাওয়া এড়ানো উচিত এবং আক্রান্ত হলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে নিম্নে জেনে নেওয়া যাক ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা (সম্পূর্ণ গাইড)।
ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা (সম্পূর্ণ গাইড)
ভাইরাস জ্বরের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। সুস্থ থাকার টিপস ও সচেতনতা নিয়ে সম্পূর্ণ বাংলা গাইড। এ সময় জ্বর হলে ডেঙ্গু, করোনা, অথবা ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি ভাইরাস জনিত জ্বরের কথা সবার
আগে ভাবতে হবে। এছাড়া শরীরের অন্ত্রের প্রদাহ, প্রস্রাব সংক্রমণ, টাইফয়েড
ইত্যাদি কারণেও জ্বর হতে পারে আপনার। জ্বরের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আরো কিছু লক্ষণ দেখে জ্বরের কারণ নির্ণয়
করা সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাস জনিত জ্বরের লক্ষণ প্রায় একই ধরনের
হয়।
ভাইরাস জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অন্যান্য জ্বরের মত এটিও একটি ভাইরাস জনিত জ্বর। সাধারণত এই জ্বর ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। ভাইরাস জনিত জ্বর অন্যান্য
রোগের মত এরও কোনো প্রতিশোধক নেই, টিকাও নেই। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে
হয়। ভাইরাস জ্বরের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল শরীরের পেশীতে প্রচন্ড ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।
এ কারণে ডেঙ্গু, করোনা ও সাধারণ ভাইরাস জনিত জ্বরের মধ্যে প্রথম
দুই এক দিন পার্থক্য করা মুশকিল। আনুষঙ্গিক লক্ষণ অনুযায়ী প্রথমে ডেঙ্গু ও করোনা
পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এরপর সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে আপনাকে। চলুন নিম্নে জেনে
নেওয়া যাক ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ।
ভাইরাস জ্বর কি?
ভাইরাস জ্বর হল এমন একটি অসুখ যা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যার ফলে যার সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। ডেঙ্গু, জন্ডিস সহ নানা কারণে ভাইরাস জ্বর হতে পারে। ভাইরাসজনিত কারণে মানুষ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও প্রচন্ড গরমে এর প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। চলুন নিম্নে আমরা জেনে নেই ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার।
ভাইরাস জ্বরের কারণ
ভাইরাস জ্বরের অন্যতম কারণ হলো ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এবং পরিবেশগত কারণ। তাহলে চলুন ভাইরাস জ্বরের কারণ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই।
১। ভাইরাস সংক্রমণ
- ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
- ডেঙ্গু ভাইরাস
- এডেনোভাইরাস
- চিকুনগুনিয়া ভাইরাস
- করোনাভাইরাস।
২। ভাইরাস জ্বরের পরিবেশগত কারণ
- ঋতু পরিবর্তন
- দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
- অতিরিক্ত ভিড় এবং জনসমাগম।
ভাইরাস জ্বরের সাধারণ উপসর্গ
ভাইরাস জ্বরের সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে হঠাৎ জ্বর মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, হালকা কাশি, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি, ক্ষুধামন্দা, ত্বকে র্যাশ ইত্যাদি। তাহলে চলুন ভাইরাস জ্বরের সাধারণ উপসর্গগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
ভাইরাস জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গ
- হঠাৎ জ্বর
- মাথা ব্যথা
- গলা ব্যথা
- শরীরে ব্যথা ও
- হালকা কাশি।
ভাইরাস জ্বরের অন্যান্য উপসর্গ
- ঠান্ডা লাগা
- ক্লান্তি
- চোখে ব্যথা
- ক্ষুধামান্দা এবং
- ত্বকে র্যাশ (ডেঙ্গু/চিকুনগুনিয়া ক্ষেত্রে)।
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ
সাধারণত ভাইরাস জ্বরের বেশ কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়। নিম্নে ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলো তুলে ধরা হলো-
- শরীরের তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পাওয়া।
- ক্লান্ত লাগা।
- শরীরের শীত শীত ভাব অনুভব হওয়া।
- সারা শরীরে চুলকানি অস্থিরতা ও ঘুম কম হওয়া।
- এই জ্বর হলে শীত শীত ভাব হয়।
- মাথা ব্যথা
- শরীর ও গিরায় ব্যথা,
- খাওয়ার অরুচি,
- ক্লান্তি - দুর্বলতা,
- নাক দিয়ে পানি পড়া,
- চোখ দিয়ে পানি পড়া,
- চোখ লাল হওয়া,
- সারা শরীরে চুলকানি,
- অস্থিরতা ,ঘুম কম হওয়ার মত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে।
ভাইরাস জ্বর ও অন্যান্য জ্বরের কারণ, চিকিৎসা ও স্থায়িত্ব
| বিষয় | ভাইরাস জ্বর | ব্যাকটেরিয়াল জ্বর |
|---|---|---|
| কারণ | ভাইরাস সংক্রমণ | ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ |
| চিকিৎসা | বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি, হালকা খাবার | এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন |
| স্থায়িত্ব | সাধারণত ৩-৭ দিন | চিকিৎসা ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে |
ভাইরাস জ্বরের ঝুঁকিপূর্ণ বয়সের গ্রুপ
- শিশু ও বয়স্করা
- গর্ভবতী নারী
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি এবং
- দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত গন।
ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধের উপায়
ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধ করতে হলে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন করতে হবে এবং বাড়িতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে।
আরো পড়ুন: শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন
- নিয়মিত হাত ধোয়া
- লোকসমাগম ভিড় এড়িয়ে চলা
- ভালো মানের মাস্ক ব্যবহার করা
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
বাড়িতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা
- ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
- মশার প্রজনন রোধ করা
- জীবাণুনাশক ব্যবহার করা।
ভাইরাস জ্বর হলে করণীয়
ভাইরাস জ্বর হলে বাড়িতে বিশেষ যত্ন এবং জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে।
বাড়িতে বিশেষ যত্ন
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
- পানি পানি, স্যুপ ও তরল খাবার খান
- প্যারাসিটামল দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
- প্রয়োজনে ঠান্ডা পানির পট্টি ব্যবহার করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সময়
- জ্বর ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
- তীব্র মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা হলে
- ত্বকে র্যাশ বা রক্তক্ষরণ দেখা দিলে।
ভাইরাস জ্বরের চিকিৎসা
ভাইরাস জ্বরের জন্য নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ খুব কম ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয়। সাধারণত সাপোর্টিভ চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে ৩ দিন পরও জ্বর না কমলে কিংবা জ্বরের মাত্রা যদি অত্যাধিক হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে।
জরের সঙ্গে প্রচন্ড মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বারবার বমি, ত্বকে র্যাশ, হার্টের স্পন্দন অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়া, শ্বাসকষ্ট, এলোমেলো আচরণ, অসংলগ্ন কথাবার্তা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে।
জরের সঙ্গে প্রচন্ড মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বারবার বমি, ত্বকে র্যাশ, হার্টের স্পন্দন অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়া, শ্বাসকষ্ট, এলোমেলো আচরণ, অসংলগ্ন কথাবার্তা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে।
আরো পড়ুনঃ বর্ষায় ত্বকের যত্নে ১৫ টি উপায়
সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখে রুমাল ব্যবহার করা, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অত্যাধিক গরমের রোদে ঘোরাফেরা না করাই উচিত।
সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখে রুমাল ব্যবহার করা, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অত্যাধিক গরমের রোদে ঘোরাফেরা না করাই উচিত।
ভাইরাস জ্বরের প্রতিকার
আপনার যদি ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে তবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক ভাইরাস জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে।- জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেলেই হয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।
- বেশি করে পানি পান করতে হবে।
- ঘন ঘন তরল খাবার খেতে হবে।
- গরম এড়িয়ে চলতে হবে।
- ভিটামিন সি ও জিংক যুক্ত খাবারের প্রাধান্য দিতে হবে আপনাকে।
- জ্বর আক্রান্ত স্থায়িত্বকাল ৪/৫ দিন হলে অথবা জ্বরের তীব্রতা বাড়লে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ভাইরাস জ্বরের সময় যা এড়িয়ে চলবেন
- এন্টিবায়োটিকের অযথা ব্যবহার
- অতিরিক্ত ঠান্ডা বা তেল ঝাল খাবার
- অতিরিক্ত পরিশ্রম
- পানির শূন্যতা।
ভাইরাস জ্বরের সম্ভাব্য জটিলতা
- ডিহাইড্রেশন
- নিউমোনিয়া
- হেপাটাইটিস (বিশেষ ক্ষেত্রে)
- ব্রেন ইনফ্লামেশন (এনসেফালাইটিস)।
ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্য তালিকা
ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্য তালিকায় অবশ্যই মৌসুমী ফল রাখতে হবে যেমন - লেবু, কমলা লেবু (ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল), আনারস, আম, কলা, খোসাযুক্ত ফল ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখা ভালো। তরল জাতীয় খাবার যেমন স্যুপ, ফলের শরবত, স্যালাইন, লেবুর শরবত, ডাবের পানি খেতে হবে। আদা, রসুন, সবুজ শাকসবজি, ডাল, ডিম ও মাছ ইত্যাদি খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভাইরাস জ্বর আক্রান্ত রোগীকে সবসময় মশারির নিচে রাখতে হবে। গলা ব্যথা থাকলে কুসুম গরম পানি খেতে হবে ভাইরাস জনিত রোগীকে।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা
ভাইরাস জ্বর হলে কি করবেন?
তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন - তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর বেশি হলে তাপমাত্রা কমানোর ব্যবস্থা নিন। রোগীকে ফ্যানের নিচে রাখুন অথবা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করুন যাতে রোগীর গা ঘেমে না যায়। তাপমাত্রা কমানোর জন্য জলপট্টি বিশেষ কার্যকরী। সেজন্য কপালে জল পট্টি দিন। গামছা অথবা তোয়ালে ভিজিয়ে গা মুছে দিন। রোগীকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও আলো বাতাস পূর্ণ কক্ষে রাখুন। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিন। পর্যাপ্ত পুষ্টি দেওয়া খাবার জরুরী। এ সময় মুখে রুচি চলে যায়। মৌসুমী ফল , নরম খিচুড়ি, স্যুপ ইত্যাদি খেতে দিন রোগীকে। চা-কফি, অ্যালকোহল পরিহার করা ভালো। এসবই পানি শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে আপনার শরীরে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে রোগীকে।আম, আনারস, পেয়ারা, কমলায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি সহ অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ভাইরাস রোগীকে। জ্বরের সময় বেশি ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না, এতে রক্তনালী গুলো সংকুচিত হয় ফলে শরীরে তাপ আটকে থাকে।
ভাইরাস জ্বর নিয়ে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা
- সব জ্বর এই এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন - ভুল ধারণা
- ভাইরাস জ্বর সব সময় বিপদজনক - ভুল ধারণা
- শুধু বৃষ্টির সময় ভাইরাস জ্বর হয় - ভুল ধারণা।
FAQ: প্রায়ই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর - ভাইরাস জ্বর: কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
১। প্রশ্ন: ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ কি কি?
উত্তর: ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ হল - অতিরিক্ত জ্বর তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস) এর ওপরে, ক্লান্তি, দুর্বলতা, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, বেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
২। প্রশ্ন: ভাইরাস জ্বর সারতে কতদিন লাগে?
উত্তর ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হয় এবং এটি ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
৩। প্রশ্ন: কি খেলে জ্বর কমে?
উত্তর: বেশি পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া এবং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা।
৪। প্রশ্ন: জ্বর হলে ডিম/লেবু খাওয়া যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, যার হলে ডিম/লেবু খাওয়া যাবে।
৫। প্রশ্ন: কত ডিগ্রী জ্বর হলে মানুষ মারা যায়?
উত্তর: ১০৬.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) জ্বর হলে মানুষ মারা যেতে পারে।
৬। প্রশ্ন: ভাইরাস জ্বর কি সংক্রামক?
উত্তর: হ্যাঁ, ভাইরাস জ্বর সংক্রামক।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার


এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url