বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় ৭ টি - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় ৭ টি - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সম্পর্কে। আপনি কি বাতের ব্যথায় ভুগছেন? তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বাতের ব্যথা উপশম মূলত কাজে আসে বাতের ওষুধ এবং আমাদের জীবনযাত্রার কিছু বাজে অভ্যাস পরিবর্তনে।
![]() |
| বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় |
সে জন্য শুধুমাত্র ব্যথার ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং মনোযোগ দিতে হবে আমাদের লাইফস্টাইলে। বাতের ব্যথা নিয়ে আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।
বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় ৭ টি - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় ৭ টি - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে তা আমাদের সকলেরই জানা উচিত। শীতকাল এলে বাতের ব্যথা আরো বেড়ে যায়। বয়স্ক মানুষের জন্য এই ব্যথা একটু বিরাট সমস্যা। কারণ এটি একটি পেশির সমস্যা জনিত রোগ দিন দিন এ রোগের সংখ্যা বাড়ছে। আপনার যদি বাতের ব্যথার কারণে হাঁটার সমস্যা হয় বা হাঁটুতে সমস্যা হয় তাহলে আনলোডিং ব্রেস, সঠিক জুতা ও শরীর সহায়ক যন্ত্র ছড়ি বা স্কেচ ব্যবহার করা যেতে পারে। ছড়ি ওজন পুরো পায়ে পড়তে দেয় না, ফলে ব্যথা কম হতে পারে।
বাতের ব্যথার চিকিৎসাঃ বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় ৭ টি
বিভিন্ন ধরনের বাতের ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে ব্যথা নাশক ঔষধ। এর পাশাপাশি ডিজিজ মডিফাইং এবং এন্টি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়। এগুলো ব্যবহার করলে ব্যথা নাশক কোন ঔষধ গ্রহণ করতে হবে না। কখনো কখনো ব্যথা নাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় তবে তা স্বল্প সময়ের জন্য।
আরো পড়ুন: কোমর ও পায়ের ব্যথার ১০টি কারণ
এরপরেও যদি রোগীর অবস্থা ভালো না হয় তবে রোগীকে আরো আধুনিক ঔষধ দেওয়া হয়। যার একটি হচ্ছে বায়োলজিক্যাল মেডিসিন। অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইন্ডোমেথাসিন ( Indomethacin 25 mg) জেনেরিকের ওষুধ সকালে একটা ও রাতে একটা ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে। বাত ব্যথার চিকিৎসার আরো একটি জিনিস বুঝতে হবে তা হচ্ছে একটি অটো ডিজিজ অর্থাৎ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কখনো কখনো আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করে।
![]() |
| কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে |
তাই শুধু ঔষধ গ্রহণের পাশাপাশি কিছু লাইফ স্টাইল সম্পর্কিত। সে ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে আপনাকে। আপনার যদি বাতের ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে তবে প্রাথমিকভাবে শরীরের গিরা গুলোকে আক্রমণ করবে এবং নষ্ট করে ফেলবে এরপর প্রচন্ড ব্যথা হবে এক পর্যায়ে গিয়ে গিরা বাকা হয়ে যাবে।
এই বাতের ব্যথা শুধু গিরায় ক্ষতি করে না অন্য অঙ্গগুলোকেও আক্রান্ত করে। বাতের ব্যথার জন্য শরীরের চর্বির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, ফলে স্থুলতা দেখা দিতে পারে। সেজন্য বাতের ব্যথা হলে সেটাকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেকে আছে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ইচ্ছা মত ব্যথা নাশক ওষুধ গ্রহণ করে থাকে।
শুধু বাতের ব্যথা নয় সব ধরনের ব্যথায় এমনটি অনেকেই করে থাকে। এর ফলে কিডনি, লিভারের নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই যেকোনো ব্যথা নাশক ঔষধ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ গ্রহণ করবেন।
বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় ৭ টি
আমাদের জীবন যাত্রার কিছু অভ্যাস পাল্টালেই বাতের ব্যথা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব। এছাড়াও আপনার যদি বাতের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায়গুলো-
১। ব্যায়ামঃ
হালকা ব্যায়াম আপনার শরীরের জয়েন্ট গুলোর উন্নতি করতে পারে। এছাড়াও ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশি শক্তিশালী হয়। আপনি যদি বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে আপনার গীরার উপর থেকে কিছু চাপ কমাতে ব্যায়াম করা জরুরি। কাজেই ব্যায়াম বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার অন্যতম একটি উপায় হতে পারে।
২। ঠান্ডা কিংবা গরম সেঁক দেওয়াঃ
আপনার শরীরে যদি বাতের ব্যথা থাকে তবে সেখানে ঠান্ডা কিংবা গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমতে সাহায্য করে। ব্যথার কারণে যদি আপনার পেশিতে খিচুনি হয়, তবে ঠান্ডা সেঁক দিলে কার্যকর হয়। অন্যদিকে হালকা গরম পানিতে গোসল বা ব্যথার স্থানে গরম সেঁক দিলে ব্যথা সাময়িক উপশম পাওয়া যায়। সুতরাং ঠান্ডা কিংবা গরম সেঁক দেওয়া হল বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার একটি ঘরোয়া উপায়।
৩। সহায়ক যন্ত্রপাতি ব্যবহারঃ
সহায়ক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে আপনার বাতের ব্যথা কমতে সাহায্য করে। তবে এগুলো একটানা ব্যবহার করতে থাকলে সমস্যা হতে পারে, তাই এগুলো ব্যবহারের মাঝে মাঝে বিরতি দিয়া উচিত। আপনার যদি হাঁটুর ব্যথা হয়ে থাকে, তবে ব্যথা অবস্থায় হাঁটা চলা বা কাজ করার জন্য প্রয়োজনে হাতের লাঠি বা স্কেচ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ব্যথার স্থানে চাপ কম পড়ে। অবশ্য গবেষকরা বলেন, সঠিক পরিমাপের জুতা ব্যবহারে পা ও হাড়ের ব্যালেন্স সঠিক থাকে, যা বাত ব্যথা থেকে দূরে থাকার একটি উপায়।
৪। পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ
আপনি যদি বাতের ব্যথা সমস্যায় আক্রান্ত হন তবে আপনাকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বিশ্রাম করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম আপনার ব্যথার পাশাপাশি ক্লান্তি কমাতেও সাহায্য করবে। এতে মানসিক চাপ অনেকটাই কম হবে এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় গুলোর অন্যতম এটি।
আরো পড়ুন:
৫। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ
প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খেলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে অনেকটা ভালো থাকা যায়। এজন্য আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ভিটামিনযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সুতরাং আপনার খাদ্য তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার, শাকসবজি ফল-মূল, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
৬। ভারী পোশাক পরাঃ
শীতকালে অবশ্যই ভারী পোশাক পরুন এবং নিজেকে উষ্ণ রাখুন। কারণ প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে বাতের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। অতএব বাড়ির ভিতরে থাকুন এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৭। সুষম খাদ্য গ্রহণঃ
ফাস্টফুড জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। অত্যাধিক তেল বা চিনি জাতীয় খাবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে মনের উপর প্রভাব ফেলেও ক্লান্তিমায় অনুভূতির সৃষ্টি করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, মাছ-মাংসের মতো পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে আপনার খাদ্য তালিকায়। আমাদের দেহের টিস্যু ও হাড়ের যত্নে নিয়মিত রসুন ও কালোজিরার কুসুম গরম তেল মিশিয়ে সারা শরীরে মেসেজ করুন, এতে অনেকটাই বাত ব্যথা থেকে দূরে থাকা যাবে।
আরো পড়ুন:
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে:
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই জানিনা কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে, তাই আজকের এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা জানবো কি কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সাধারণত প্রক্রিয়াজাত রেডমিট ও মাংস খেলে আমাদের দেহের প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে এই জাতীয় প্রক্রিয়াজাত মাংস বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। কারণ এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত মাংসের ইন্টার লিউকিন, হোমোসিস্টেইন ও সি রিয়াক্টিভ প্রোটিনের মত উপাদান থাকে, যা শরীরের প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। তাছাড়া গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার বাত ব্যথার জন্য অনেকটাই দায়ী।
তাছাড়া লেবু,টমেটো, আমড়া জাতীয় ফল এবং শিকড় জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না । খাওয়া কমাতে হবে ময়দা ও সাদা চিনি। কারণ এগুলো শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি করে এবং বাত ব্যথা বাড়াতে পারে। আর প্রদাহের অন্যতম প্রধান এজেন্ট হলো সাইটোকাইন্স। চিনি এই সাইটোকেন্সের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আশা করি, আপনারা বুঝতে পেরেছেন - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
শরীরের জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমা হয়ে বাতের ব্যথার সৃষ্টি হয়। এটি একদিনে না হয়ে ধীরে ধীরে এ রোগটি শরীরে বেড়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে উষ্ণ হয়ে তীব্র ব্যথার অভাব হয় এবং জয়েন্ট ফুলে যায়। এজন্য কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই বাতের ব্যথা দূর করা সম্ভব। তাহলে চলুন ভাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- খাঁটি সরিষার তেল শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। প্রথমেই এক কাপ সরিষার তেল হালকা গরম করে সাথে রসুনের কোয়া পেস্ট করে আক্রান্তের জায়গায় ধীরে ধীরে ভালোভাবে মালিশ করতে পারেন। এর ফলে আপনি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি বাতের ব্যথা কমাতে খাঁটি সরিষার তেল ও রসুন ব্যবহার করতে পারেন।
- কাঁচা হলুদের ব্যবহার বাতের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাবারে পরিমিত হলুদ ব্যবহার করলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- আদা চা বাতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে গরম পানিতে চা পাতা এবং চিনির সঙ্গে আদা কুচি দিয়ে চা তৈরি করে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে দুবার আদা চা পান করলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গ্রীন টি তে প্রাকৃতিক উপাদান পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটা বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য আপনি প্রতিদিন তিন চার কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এটি আপনার বাতের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায় হিসেবে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
- ঠান্ডা ও গরম পানির চিকিৎসা প্রাচীনকাল থেকেই হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এজন্য আপনাকে গরম পানির সেক দিতে হবে যা আপনার রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলবে। আর ঠান্ডা পানির সেঁক আপনার ভাতের প্রদাহ এবং ভুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করবে। এভাবে আপনি আপনার বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ঠান্ডা ও গরম পানির সেঁক দিতে পারেন।
- খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস আপনার দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া উপায়। এটি আপনার বাতের ব্যথা প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাপের জুতা ব্যবহার করতে হবে। তবে হাঁটার সময় অবশ্যই খালি পায়ে আপনাকে হাঁটতে হবে তাহলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
- তৈলাক্ত ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। গবেষণায় দেখা গেছে যারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করেন তাদের বাতের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আর যারা তৈলাক্ত ভাজাপোড়া ও জাঙ্ক ফুড খাবার গ্রহণ করেন তাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার মধ্যে হাঁটু ব্যথা বা বাতের ব্যথা অন্যতম।
- বাতের ব্যথা ঘরোয়া ভাবে দূর করতে হলে অবশ্যই আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত হাঁটাহাটি ও ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
- বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি নিয়মিত টাটকা শাক-সবজি, ফলমূল, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যুক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
- সর্বোপরি মানসিক চাপ কমিয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। নিয়মত স্বাস্থ্যকর খাবার এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবস্থান করতে হবে। অ্যালকোহল ও ধূমপান। এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি ব্যাপারটি ভালোভাবে বুঝতে এবং জানতে পেরেছেন। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে সবার আগে সচেতন থাকতে হবে।
FAQ: প্রশ্নোত্তর -বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার ঘরোয়া উপায় - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
১। প্রশ্ন: বাত ব্যথার লক্ষণ কি কি?
উত্তর: বাত ব্যথার লক্ষণগুলো হলো জয়েন্টে ব্যথা হওয়া, জয়েন্ট গুলো গরম হয়ে ভুলে যাওয়া, ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করা, জ্বর জ্বর ভাব হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, অস্বস্তি এবং শরীর খারাপ লাগা অনুভব হওয়া।
আরো পড়ুন: কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা
২। প্রশ্ন: হাঁটুতে বাতের ব্যথার কারণ কি?
উত্তর: হাঁটুতে বাতের ব্যথার কারণ বয়স বেড়ে যাওয়া, হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি হতে পারে।
৩। প্রশ্ন: বাত ব্যথা কমানোর ওষুধের নাম কি?
উত্তর: বাত ব্যথা কমানোর ওষুধের নাম হলো নাপ্রোক্সেন, ইনডোমেট এসআর ইত্যাদি। তবে এ ওষুধগুলো অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
উপসংহারঃ বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায়
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, ছোট ছোট এই পরিবর্তনগুলো দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে সাহায্য করবে এছাড়াও আপনাকে বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে। আমাদের আজকের বাতের ব্যথা থেকে দূরে থাকার উপায় ৭ টি আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
লেখক পরিচিতি:
মোহাঃ গোলাম কবির
বি.এস-সি (অনার্স), এম.এস-সি
পরিসংখ্যান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
(বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত নিয়মিত ব্লগ লেখক)




এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url