খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় | ১২ টি প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক- আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। কাশি একটি সাধারন রোগ, কিন্তু এটি যখন দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তখন এটি একটি মারাত্মক রোগ আকারে দাঁড়ায়। এমন একটা সমস্যা যা যেকোনো সময় যেকোনো কারো হতে পারে। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় | ১২ টি প্রতিকার জানাবো ।
![]() |
| খুসখুসে-বিরক্তিকর-কাশি-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায় |
কাশি নিরাময় করার জন্য আমরা কাশির সিরাপ ব্যবহার করে থাকি। যা কাশি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দিতে সাহায্য করে কিন্তু ঘরোয়া প্রতিকার গুলো কাশি থেকে স্থায়ীভাবে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নিম্নে জেনে নেওয়া যাক শুকনো খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় - ১২ টি প্রতিকার।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় ও প্রতিকার জেনে রাখুন। ক্রমাগত শুকনো কাশি কোন রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রাকৃতিক সমাধান - সম্পূর্ণ গাইড। সাধারণত আমাদের দুই ধরনের কাশি হয়, একটি হচ্ছে শ্লেষ্মা যুক্ত বা ভেজা কাশি এবং অন্যটি শুকনো কাশি। শ্লেষ্মা যুক্ত কাশি সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে হয়। এছাড়া দূষণ, ধুলোবালি, যক্ষা, হাঁপানি, ফুসফুসের সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে শুকনো কাশি হতে পারে আপনার শরীরে। যেহেতু এখন শীতের প্রভাব পড়ে গেছে, সেখান থেকেও এই শুকনো কাশির সমস্যা দেখা দেয়। এই শুকনো খুসখুসে কাশি সহজে সারে না এবং খুব বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।
যখন ওই আবহাওয়ার সাধারণ পরিবর্তন হয়, তখন প্রথম প্রভাবটি আমাদের শরীরে পড়ে এবং শীতকালীন অসুস্থতা শুরু হয়ে যায়। যার কারণে ঠান্ডা লাগার সমস্যা হয় এবং এই ঠান্ডা লাগার কারণে নাক ও গলা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় এবং খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি শুরু হয়ে যায়। ঠান্ডা লাগলে সেটা নিরাময় হয়ে যায় কিন্তু কাশি আমাদের দীর্ঘদিন ধরে থাকে। এই কাশি আমরা দ্রুত নিরাময়ের জন্য কাশির ঔষধ অথবা সিরাপ খেয়ে থাকি ।
অনেক সময় প্রচন্ড কাশি হলে পাঁজরো ব্যথা হতে থাকে আক্রান্ত ব্যক্তির। এ কারণে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত এবং চিকিৎসা করানো উচিত। আপনার যদি এমন কোন সমস্যা থাকে তবে আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন এগুলো আপনাকে এই খুসখুসে বিরক্তিকর শুকনো কাশির হাত থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করবে।
খুসখুসে শুকনো কাশি কি
কাশি দুই ধরনের হতে পারে-শুকনো কাশি এবংশ্লেশ্মা কাশি। শুকনো কাশিতে কোন থুতু বা শ্লেশ্মা নেই, এ ধরনের কাশি নাক বা গলার ভাইরাস সংক্রমণের সময় ঘটে। শুকনো কাশি হলে আমরা অনুভূতি পাই যে গলায় কিছু আটকে আছে কিন্তু সেটা গলা থেকে নামতে চাই না। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো শুকনো কাশির সমস্যায় ঘরোয়া প্রতিকারগুলো।
খুসখুসে শুকনো কাশির কারণ
শুকনো কাশি আমাদের অনেক কারণে হয়ে থাকে। শুকনো কাশির সঠিক কারণটি আমরা যদি জানতে পারি তবে সেটা চিকিৎসা করার জন্য সহজ হবে। আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো শুকনো কাশির কারণগুলি কি। চলুন নিম্নে খুসখুসে বিরক্তিকর শুকনো কাশির কারণগুলো জেনে নিই-
- উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার কারণে শুকনো কাশি হতে পারে।
- আপনার নাক ও গলায় এলার্জির কারণে শুকনো কাশি হতে পারে।
- আপনার যদি হাঁপানি বা টিবির মতো শ্বাসতন্ত্রের রোগ থাকে তবে আপনার শুকনো কাশি হতে পারে।
- যদি আপনার ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকে তবে আপনার শুকনো কাশি হতে পারে।
- আপনার শরীরে যদি ঠান্ডা-জ্বর ও সর্দি হয়ে থাকে তবে সেটার কারণেও শুকনো কাশি হয়ে থাকে।
শুকনো কাশি দূর করতে যা খাবেন
শুকনো কাশি কমাতে প্রচুর পরিমাণে তরল পানি পান করুন। যেমন, গরম সুপ, মসলা পানি, আদালেবু দিয়ে চা, হারবাল ইত্যাদি নিয়মিত কিছুক্ষণ পরপর পান করুন। এছাড়া ওসব গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। গরম পানির ভাপ নিন, গড়গড়া করার জন্য একগ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে তারপরে গড়গড়া করুন। যতটা সম্ভব ধূমপানমুক্ত থাকুন।
খুসখুসে বিরক্তিকর শুকনো কাশির সমস্যায় ঘরোয়া ১২ টি প্রতিকার
শীতের আগমন ঘটেছে সর্দি, কাশির প্রকোপ বেড়েছে। শুকনো কাশির অন্যতম কারণ হচ্ছে সর্দি, গলা ব্যথা এবং অস্বস্তি। শুকনো কাশি হলে এটা সহজে সারে না। এ সময় শুকনো কাশি বা জ্বর যাই হোক না কেন আইসোলেশনে থাকবেন। পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কোন ওষুধ সেবন করবেন না। চলুন নিম্নে জেনে নিই - খুসখুসে বিরক্তিকর শুকনো কাশির সমস্যায় প্রাকৃতিক সমাধান।
খুসখুসে কাশি দূর করতে আদা
আদাতে যে অ্যান্টি - ইনফ্লামেটরি আছে যা শুকনো কাশি দূর করতে সাহায্য করে। আদা কুচি করে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করুন। অথবা লিকার সঙ্গে আদা কুচি ও লেবুর রস পান করুন এতে করে শুকনো কাশি থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
কাশি দূর করতে হলুদ
হলুদের কারকিউমিন নামে যে উপাদান আছে, তা জীবাণুরোধী ও অ্যাান্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ হলুদ ও আট ভাগের এক চা চামচ গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে পান করুন।
খুসখুসে কাশি দূর করতে তুলসী
তুলসী পাতাতে ভিটামিন সি ওজির আছে। যা প্রদাহ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন এতে করে আপনি অনেকটা উপকার পাবেন। মধুর সঙ্গে তুলসীর রস মিশিয়ে অথবা তুলসীর চাও খেতে পারেন।
মধু দিয়ে কাশি দূর করুন
মধুর এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল কাশি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। অথবা লিখার চায়ের সঙ্গে মধু এবং লেবু মিশিয়ে পান করুন।
কাশি দূর করতে রসুন
আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুন রাখুন এবং প্রতিদিন সালাতের সঙ্গে এবং সুপের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে পান করুন। কারণ রসুনের এলিসিন উপাদান জীবাণু ধ্বংসের কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
খুসখুসে কাশির জন্য মসলা চা
পানিতে গোল মরিচ, লবঙ্গ, এলাচ, আদা, গোলমরিচ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন এরপরে পানি হালকা গরম থাকতে পান করুন এতে করে গলার প্রদাহ কমবে এবং কফ দূর হবে।
আরো পড়ুন: বাচ্চাদের সর্দি-কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায়
খুসখুসের বিরক্তি কর কাশিতে পুদিনা পাতার চা
ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি হলে অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এ সময় পুদিনা পাতার চা খেলে এ ধরনের সংক্রমণের থেকে আরাম পেতে পারেন।
খুসখুশে বিরক্তিকর কাশির জন্য ঘি
প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর দেশি ঘিয়ে এর সঙ্গে হলুদ ও আদা মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি শুকনো কাশি সমস্যায় আরাম দেয়।
খসখুসে কাশিতে মুলেঠির পাউডার
দুই টেবিল চামচ মুলেঠির পাউডার দুই থেকে তিন গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার ওই জল দিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য পেপার বাষ্প নিন। এটি কাশিতেও দারুন কাজ করে।
খুসখুসে কাশির জন্য লবণ পানিতে গার্গেল
পানিতে লবণ দিয়ে হালকা গরম করে নিন। এই গরম জল দিয়ে গারগেল করঅলে গলার সংক্রমণ কমে যায়। এতে উপস্থিত এন্টি ব্যাকটেরিয়াল কলা কে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
খুসখুসে কাশির জন্য গিলয় ও তুলসীর মিশ্রণ
গিলয় ও তুলসীর মিশ্রণ কাশির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরে দীর্ঘস্থায়ী কাশি কেউ দূর করে। এছাড়া বেদানার খোসা ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিন এবং শুকানোর পরে এক টুকরো মুখে নিয়ে চুষতে থাকুন এটি শুকনো কাশির জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়।
ভেষজ চা কাশি সারাতে
বিভিন্ন ভেষজ চা দিয়ে তৈরি চা গলা ব্যথার সমস্যা কমায় সেই সাথে সব কফ বের করে দেয়। ফলে শুকনো কাশি কমে এছাড়া ভেষজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হজম শক্তি ভালো রাখে। সেজন্য প্রতিদিন এক কাপ ভেষজ চা খাওয়ার চেষ্টা করুন সাধের জন্য লেবু বা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
শুকনো কাশি কমাতে এ খাবারগুলো খাওয়ার পাশাপাশি কিছু বিষয় এড়িয়ে চলুন-
- দূষিত বাতাস থেকে দূরে থাকুন বাড়িতে ইনডোর প্লান্ট রাখার চেষ্টা করুন।
- যাদের ঠান্ডা কাশির সমস্যা আছে এমন মানুষদের কাছে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান করা বাদ দিন, কারণ ধূমপান ফুসফুসের জন্য ক্ষতি করে এবং ধূমপান ড্রাই কফ বাড়িয়ে এড়িয়ে চলুন।
- আপনার যদি এসিডিটির সমস্যা থাকে তবে ক্যাফেইন , অতিরিক্ত ঝাল যুক্ত খাবার এবং চকলেট এড়িয়ে চলুন।
- প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কারণ না ঘুমিয়ে দুশ্চিন্তা করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় আর এতে করে শুকনো কাশির সমস্যা সারতে অনেক সময় লেগে যায়।
শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ
শুকনো কাশি নানা রোগের লক্ষণ হতে পারে। জেনে নেই শুকনো কাশি কোন কোন রোগের লক্ষণ-
কোভিড বা ভাইরাল সংক্রমণ
কঠিন বা ভাইরাল সংক্রমনের পরে, শ্বাসনালি অ্যালাজেনের প্রতি অতি - সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। এর থেকে দীর্ঘস্থায়ী কাশির মতো সমস্যা হতে পারে।
যক্ষা রোগ
যক্ষ্মা পরবর্তী বংক্রাইটিস থেকে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। আপনার যদি শুকনো কাশি দীর্ঘদিন ধরে হয়ে থাকে তবে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন।
আরো পড়ুন: যক্ষা রোগ কেন হয়
ফুসফুসে ক্যান্সার
বয়স্কদের ফুসফুসের ক্যান্সার, ফুসের ফাইব্রোসিস, ক্রনিক অবস্টকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, আর্ট ফেইলর, এসই ইনহিভেটরের মত কিছু ওষুধের কারণে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে।
কাশির অন্যান্য কারণ
গ্যাস্ট্রোএসোফেজীয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, ফরেন বডি অ্যাস্পিরেশন, পোস্ট নেশালট্রিপ এর কারনেও দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে।
শুকনো কাশির সিরাপ এবং ওষুধ
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন - খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি হলে কি ওষুধ খাব? চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধের নাম-
খুসখুসে বিরক্তিকর শুকনো কাশির ঔষধ
- Tablet. Ketof 1mg
- Tablet. Sedno 5mg
- Capsule. Ambrox 75SR
- Tablet. Fexo 12omg
- Tablet. Encilor 10mg
- Tablet. Brolyt 4mg
- Tablet. Askorel SR 50mg
সম্প্রতি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বিভিন্ন ধরনের কাশির ঔষধ বাজারাত করেছে।
আরো পড়ুন: শিশুদের শ্বাসকষ্ট কেন হয়
আপনারা চাইলে রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিম্নে উল্লেখিত কাশির ঔষধ গুলো কিনে খেতে পারেন।
- Tablet. Alarid 1mg
- Tablet. Fexo 120
- Syrup. Ambrox
- Syrup. Tusca Plus
- Tablet. Alatrol 10mg
খুসখুসে বিরক্তিকর শুকনো কাশির সিরাপ
চলুন না জেনে নেওয়া যাক খুসখুসে বিরক্তিকর শুকনো কাশির সিরাপের গুলোর নাম-
- পিউরিসাল সিরাপ
- এডোভাস সিরাপ
- অফকফ সিরাপ
- তুসকা প্লাস সিরাপ
- টমিফেন সিরাপ
বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নামঃ
- Syrup. Sinamin
- Syrup. Remocof
- Syrup. Adovas
- Syrup. E Cof
- Syrup. Tusca Plus
বাচ্চাদের শুকনো কাশির সিরাপের নামঃ
- Syrup. Abex Plus
- Syrup. Madhuvas
- Syrup. Ocof
বাচ্চাদের শুকনো কাশি কফ দূর করার জন্য আপনারা হানিবাস সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন। উপরে উল্লেখিত ঔষধগুলো শ্রবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর সেবন করুন।
FAQ: প্রশ্নোত্তর - খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
১। প্রশ্ন: খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি কেন হয়?
উত্তর: পাকস্থলীতে এসিডিটি বেড়ে গেলে, ঠান্ডা-সর্দি লাগলে নাকের পিছন সাইড থেকে গলায় তরল নিঃসরণের জন্য বিরক্তিকর শুষ্ক কাশি হয়।
২। প্রশ্ন কি খেলে কাশি বন্ধ হবে?
উত্তর: গরম পানিতে অথবা ভেষজ চায়ে ১ থেকে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খেলে কাশি বন্ধ হবে।
৩। প্রশ্ন: কাশি না কমার কারণ কি কি?
উত্তর: কাশি না কমার কারণ হতে পারে এজমা (হাঁপানি), এলার্জি, যক্ষা (টিবি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং ধূমপান। তাছাড়া ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য কাশি ভালো হতে চায় না।
৪। প্রশ্ন: দীর্ঘদিন কাশি হলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
উত্তর: দীর্ঘদিন কাশি হলে গলার ব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং জীবন যাত্রার মান কষ্টকর হতে পারে। তাছাড়া ক্যান্সার ও যক্ষ্মার মত গুরুতর অসুখের কারণেও দীর্ঘদিন কাশি হতে পারে। এজন্য ৩ সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫। প্রশ্ন: কাশি কত দিনে ভালো হয়?
উত্তর: কাশি সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
উপসংহার - খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
খুসখুসে কাশি খুবই বিরক্তিকর একটি রোগ। অনেকের অনেক ধরনের কাশি রয়েছে। কাশির সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে আজকের আমাদের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনারা যদি একটু মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে জানতে পারবেন, খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় - ১২ টি প্রতিকার সম্পর্কে। আপনারা যারা এতক্ষণ ধৈর্য্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।


এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url